চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘হামলার সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ফেরত ১১ শ্রমিকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি’

শ্রীলঙ্কায় গীর্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির কারখানায় কর্মরত বাংলাদেশি ১১ শ্রমিকের ওই ঘটনায় কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত ১১ বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যে সন্ত্রাসী আত্মঘাতী হামলায় মারা গেছে আমরা তার সম্পর্কে এবং তার আত্মীয়দের সম্পর্কে জানান চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিছুই জানাতে পারেনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালিককে দুই/চারবার দূর থেক দেখেছে তবে মালিকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করা কোনো সুযোগ হয়নি। তারা সাধারণ শ্রমিকের মতোই সেখানে ছিলেন।

শ্রীলঙ্কায় হামলা ও ফ্যাক্টরির মালিকের সঙ্গে বাংলাদেশিদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় নি উল্লেখ করে সিটিটিসি প্রধান বলেন: আমরা এখনও তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, তবে কোনো সংশ্লিষ্টতা না পেলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত তারা হামলার সম্পর্কেও কোনো তথ্যও দিতে পারে নি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত ১১ বাংলাদেশি শ্রমিক সেখানকার হামলাকারী ইব্রাহিম ইনসাফ আহমেদের ‘কলসাস মেটাল’ নামে একটি পিতলের কারখানায় পিতলের তৈজসপত্র তৈরির কাজ করতেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ টাঙ্গাইলের বাসিন্দা।

তারা মূলত টুরিস্ট ভিসায় সেখানে গিয়েছিল। তাদের কোনো ওয়ার্কপার্মিট ছিল না। অনেকের আবার ভিসার মেয়াদও ছিলোনা।

হামলার ঘটনায় ওই ফ্যাক্টরির মালিক নিহত হয়েছে। শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১১ শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে। সেখানে আরও অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা ছিল তাদেরও ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এই ১১ জনের এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তবে সেটির বিষয়েও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আপতত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে শ্রীলঙ্কার হামলা ও হামলা কারীর সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

শুক্রবার দুপুরে মালিন্দ এয়ার লাইন্সের ওডি ১৬৪ একটি ফ্লাইটে শ্রীলঙ্কা থেকে ১১ বাংলাদেশী ঢাকায় আসেন।

২১ এপ্রিল সকালে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানে ৩টি গির্জা ও ৩টি পাঁচ তারকা হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হয় ২৫৩ জন। এ ঘটনায় আহত হন ৫শ’রও বেশি।

হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে।