ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার আগের দিনই ফ্রান্সকে শতর্ক করেছিলো তারা। কিন্তু ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থা ইরাকের করা ওই দাবি অস্বীকার করে জানায়, তারা সতর্ক বার্তা পেলেও আইএস জঙ্গিরা কবে, কখন, কোথায় হামলা চালাবে তা সতর্ক বার্তায় নিদির্ষ্ট করে বলা ছিলো না। তারা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে ওই ধরণের হুমকি পেয়ে থাকে।
ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ইরাক, সিরিয়া সহ যেসব দেশে আইএস কে প্রতিহত করতে যুদ্ধ করছে, সেসব দেশে বোমা বিস্ফোরণ, গুপ্তহত্যা বা অপহরণের মাধ্যমে আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলো আইএস’র প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি। আক্রমণের তালিকায় ইরান, রাশিয়ার নামও ছিলো। আক্রমণের আশঙ্কা করে ৬ জন ইরাকি গোয়েন্দা কর্মকর্তা হামলার আগেরদিনই ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ এখনো সেই সতর্ক বার্তা গণমাধ্যম ও জনসম্মুখে প্রকাশ করছেনা বলে জানায় ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থা।
ইরাকি কর্মকর্তারা আরো জানান, নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় ২৪ জন জড়িত ছিলো। এর মধ্যে ১৯ জন ছিলো হামলাকারী ও ৫ জন অস্ত্র সরবরাহসহ যাবতীয় পরিকল্পনা করেছে।
তথ্য প্রদানকারী কোনো কর্মকর্তাই তাদের নাম প্রকাশ করেন নি। কারণ এই বিষয়ে জনসম্মুখে আলোচনা করার অনুমতি তাদের নেই।
রোববার ভিয়েনায় ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইব্রাহিম আল-জাফারিও সাংবাদিকদের জানান, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলো যে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানসহ বেশ কিছু দেশে আইএস হামলা চালাবে। আমরা সেসব দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে হামলার বিষয়ে অবগত করেছিলাম।
ইরাকের পরারাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যে ফ্রান্স এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।