ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মত ডাবল সেঞ্চুরি করে ফিরলেন মোহাম্মদ হাফিজ। আজাহার আলীর পর হাফিজ শুভাগত হোমর দ্বিতীয় শিকার। শুভাগতোর বলে লেগ স্লিপে দাড়িয়ে থাকা মাহামুদুল্লার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
শেষ পর্যন্ত চার উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪২২ রান। মিজবাহ-উল-হক ৪৩ ও আসাদ শফিক ৬ রানে ব্যাট করছেন।
তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই সতর্ক থেকে ব্যাট করছিলেন গতকাল থেকে উইকেটে জেঁকে বসা সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ হাফিজ এবং আজহার আলি। ওই জুটি দলীয় স্কোর বোর্ডে যোগ করে ২২৭ রান।
এর আগে ১০৫ রানে পিছিয়ে থেকে মিসবাহ বাহিনী তৃতীয় দিন শুরু করে।
দ্বিতীয় দিনে হাফিজের শতকে শক্ত অবস্থান নেয় পাকিস্তান। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে করা ৩৩২ রানের জবাবে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে তোলে ২২৭ রান।
দ্বিতীয় দিনে শুধুমাত্র এক উইকেটের সাফল্য নিয়ে চাপের মধ্য থেকে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি ওপেনার সামি আসলামকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করেন তাইজুল ইসলাম। আউট হওয়ার আগে অভিষিক্ত এ ব্যাটসম্যান করেন ২০ রান।
হাফিজের সাথে ২২৭ রানের জুঁটি গড়ে ফেরেন ওয়ানডে অধিনায়ক আজাহার আলী। ব্যক্তিগত ৮৩ রানে শুভাগত হোমের শিকারে পরিনত হন তিনি।
এরপরই ফেরেন অভিজ্ঞ ইউনুস খান। তার সংগ্রহ ছিল ৩৩ রান। তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি।
ইউনুস খানের বিদায়ের পর দলীয় অধিনায়ক মিজবাহ উল হকের সাথে ৬৩ রানের জুটি গড়ে ফেরেন হাফিজ।
এর আগে টেস্টের প্রথম দিন চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৩৬ রান। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৯৬ রান যোগ করে ৩৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় মুশফিক বাহিনী।
আঙুলে চোঁটের কারণে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। যদিও এক্স-রের পরে সে আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়ে ছিলেন মিডিয়া ম্যানেজার। আরও সুস্থতার কারণে তাকে এখন পর্যন্ত বিশ্রামে রাখা হলেও দলের প্রয়োজনে আবারও মাঠে দেখা যাবে তাকে।