চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

হাতিয়ে নেয়া টাকার ‘একাংশ’ উদ্ধার

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার
সমপরিমাণ ১০ কোটি ডলার হাতিয়ে নেয়ার পর সংশ্লিষ্ট অর্থের একাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবশিষ্ট টাকার গন্তব্য সনাক্ত করে তা ফেরত আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ফিলিপাইনের এন্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয় রয়েছে। ইতিমধ্যে ফিলিপাইনের এন্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে আদালতে মামলা দায়ের করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোর ফ্রিজ আদেশ আদালত থেকে সংগ্রহ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে চীনা হ্যাকারদের একটি দল বিপুল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনের ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে দ্রুত পাচার হয় অন্য কোনো দেশে। হ্যাকিং এর মাধ্যমে অর্থচুরির বিষয়টি জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

হ্যাকাররা ওই অর্থ ফিলিপাইনে স্থানান্তর করেছে নিশ্চিত হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই কর্মাকর্তাকে ফিলিপাইনেও পাঠানো হয়। ওই দুই কর্মকর্তা ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল-এএমএলসি’র সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা কথা বলেননি।

তবে এ নিয়ে দুপুরে বিশেষ বৈঠক হয়েছে।বৈঠকে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও, বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। ধারনা করা হচ্ছে ব্যাংকের নিজস্ব কারো যোগসাজশ ছাড়া এই অর্থ হ্যাক করা সম্ভব নয়।

ফিলিপাইনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ এর তথ্য বিনিময় সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। এদিকে আর্থিক খাতে যথাযথ সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে সতর্ক করে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি ব্যাংকের এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এই ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা।

দেশে এত বড় সাইবার অপরাধের এই প্রথম। গতবছর ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সাইবার অপরাধীরা।