ভিসির ইন্ধনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দিনাজপুর হাজি দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের। অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের সুযোগ করে দিতেই পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেন ভিসি। ভিসিসহ অন্যরা জড়িত কিনা বুধবারের মধ্যে জানাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন বিরোধ আর ক্যম্পাস দখলের মহড়া দিতে গিয়ে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ছাত্র নিহত ঘটনায় মামলা হয় তিনটি। পুলিশের অভিযোগ, ৪ দিন পরও স্বজনদের সাড়া না পেয়ে পুলিশই বাদী হয়ে মামলা করে।
ছাত্রলীগের এক গ্রুপের ১৭ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রথম মাইক্রোবাসটি যখন আসে তখন আমরা বাসটি আটকাই এবং তাদের প্রশ্ন করি। তারা বলে আমরা ভিসি মহোদয়ের অতিথি।
পরে নিহত মিল্টনের চাচা বাদী হয়ে আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলায় আসামী ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের ৪১ জন। প্রধান আসামী ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক রুহুল আমিন।
আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভিসি ক্যাম্পাসের ভেতরে আসার জন্য সবাইকে অনুমতি দিলেন এবং বলতে গেলে তাদের ডেকে নিয়ে গেলেন সুপরিকল্পিতভাবে। আর ডিবি বা কোতয়ালী থানা পুলিশ যখন অনুমতি চাচ্ছে তখন ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন না তিনি।
তদন্ত করে ঘটনায় কারা দায়ী, পুলিশের কাছে বুধবারের মধ্যে জানতে চেয়েছে আদালত।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো: রুহুল আমিন বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে তারপর আমাদের গ্রেফতারে যেতে হবে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের কাছে মূখ্য না। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবো।
শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার দাবি সাধারণ ছাত্রদের। পরিস্থিতি সফলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে দাবি ভিসি অধ্যাপক রুহুল আমিনের। তিনি বলেন, এখন তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়াটাইতো স্বাভাবিক।
রাজনৈতিক মহলের লেজুড়বৃত্তি দূর না হলে আরও হত্যার ঘটনা ঘটবে আশংকা বিশিষ্ট নাগরিকদের। ঘটনার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের শাস্তি দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী চলছে ক্যাম্পাসে।