শ্রীপুরের (গাজীপুর) কর্ণপুর থেকে: মেয়ের ওপর চালানো অত্যাচারের বিচার না পেয়ে ট্রেনের তলায় ‘আত্মাহুতি’ দেওয়া গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের হযরত আলী সরকার ও তার মেয়ে আয়েশা আক্তারের লাশ সোমবার সকালে গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের তাদের দাফন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে শ্রীপুর রেলস্টেশন থেকে কিছুটা দূরে রেললাইন থেকে বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কর্ণপুর দারুল হামিদিয়া মাদ্রাসার মোহতারাম মো: হাফিজউদ্দিন তাদের জানাযা পড়ান। ওই সময় গোসিঙ্গা ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকারসহ অসংখ্য গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তাদের লাশ রোববার রাতে গ্রামে পৌঁছায়। খবর পেয়ে সোমবার সকাল থেকেই আয়েশাদের বাড়িতে ভিড় করে হাজার হাজার মানুষ। শেষবারের মত সদা হাস্যোজ্বল আয়শা আর তার বাবা হযরত আলীকে দেখার ইচ্ছা ছিল তাদের। তবে মরদেহ বিকৃত হওয়ায় সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
লাশ দাফনের পর বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন আয়শার মা হালিমা বেগম।মেয়ের কথা বলে বিলাপ করে কাঁদছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, ফারুক নামের স্থানীয় এক বখাটে হযরত আলীর প্রথম শ্রেণীতে পড়া শিশু কন্যা আয়েশাকে একাধিকবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের কাছে ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে পাননি।তিনি তা ধামাচাপা দেন। পরে থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি।
সেই ক্ষোভে শনিবার মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এতে ঘটনা স্থলেই নিহত হন বাবা-মেয়ে। হযরত আলী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কালাই গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন।