বছর ঘুরে ফের নতুন বছর। প্রথম সূর্যোদয়। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বছর ১৪২৫। পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেয় নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। আর এরমধ্যেই হাজারো কণ্ঠে নতুন বছরকে বরণ করে নিলো চ্যানেল আই-সুরের ধারা।
সুন্দর আগামী ও দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে প্রতিবারের মতো এবারও গানে গানে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়েছে চ্যানেল আই-সুরের ধারা। ‘হাজারো কণ্ঠে কোটি বাঙালির বর্ষবরণ ১৪২৫’ শিরোনামে বর্ণিল এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উন্মুক্ত চত্বরের পূর্ব প্রান্তে।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের খোলা প্রান্তরে উপস্থিত হন শত শত মানুষ। হাজারো কণ্ঠে চ্যানেল আই-সুরের ধারার বর্ষবরণে অংশ নেন তারা। শিল্প সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষের উপস্থিতে ভোরেই সেখানে উৎসবে পরিনত হয়। এক হাজার শিল্পীসহ বর্ষবরণ করে নিতে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও সুরের ধারার চেয়ারম্যান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ছিলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর।
ফারজানা ব্রাউনিয়ার উপস্থাপনায় হাজারো কণ্ঠে চ্যানেল আই-সুরের ধারার বর্ষবরণ-১০২৫ অনুষ্ঠানটি শুরুর আগে নতুন বছরে সবাইকে শুভ কামনা জানিয়ে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন: এতো বড় মঞ্চ, এতোগুলো শিল্পী। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি, পৃথিবীর কোথাও, কোনো জায়গায় কখনো এভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়নি। গত সাত বছর ধরে চ্যানেল আই ও সুরের ধারা এভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে আসছে। সঙ্গে ছিলো সাধারণ মানুষর সমর্থন। আমরা আশা করি নতুন বছরটা আমাদের শুভ কামনা বয়ে আনবে।
এরপর সুরে গানে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। প্রথমে সরোদের সুর। আর এরপরেই রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে হাজারো কণ্ঠে বেজে উঠে রবীন্দ্রনাথের গান ‘ওঠো ওঠো রে– বিফলে প্রভাত বহে যায় যে’। এভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়। এরপর চলতেই থাকে একের পর এক গান, নৃত্য। ততক্ষণে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের খোলা প্রান্তর দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ!