‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। বৈশাখের প্রথম প্রহরে কোটি বাঙালি এক হয়ে যেন গেয়ে উঠেছিল প্রাণের এই গানটি। হাজার বাঙালির সুরে কোটি বাঙালির মনে পৌঁছে দিতে চ্যানেল আই ও সুরের ধারা’র পহেলা বৈশাখের আয়োজন ‘হাজার কণ্ঠে বর্ষবরণ’।
প্রতিবছরের মত এবছরও কানায় কানায় ভরে উঠেছিল ১৪২২ বঙ্গাব্দ বরণ নিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসেছিল হাজার কণ্ঠের বর্ষবরণের আসর।আসরের প্রথম প্রহরে নতুন বছরে সবার মন প্রশান্তিতে ভরে উঠার প্রয়াসে দীর্ঘক্ষণ সেতার পরিবেশনা করা হয়।
পুরনো সব জরার্জীণ মুছে ফেলে নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে উপমহাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রিজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সঙ্গে মিলিত হয়ে সুরের ধারার হাজারো কণ্ঠশিল্পীরা গেয়ে উঠেছিল ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। চ্যানেল আইতে অনুষ্ঠানটি দিনের প্রথম প্রহর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করায় কোটি বাঙালিও তখন গেয়ে উঠেছিল প্রাণের গান, হৃদয়ের গানটি।
বর্ষবরণ উৎসবে চ্যানেল আই’র বার্তা প্রধান ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজওয়ান রহমান, বিদেশী কটূনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গণের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে হাজির হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক, সাঈদ খোকন এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
শাইখ সিরাজ বলেন, বাঙ্গালি জাতির সব থেকে বড় উৎসব হল পহেলা বৈশাখ।রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে হাজারো কন্ঠে বর্ষবরণের মাধ্যমে ৬টি মহাদেশের যত বাংলা ভাষাভাষি মানুষ আছে তারা আজ এক সঙ্গে গেয়ে নতুন বছরের গান।
সুরেরধারার চেয়ারম্যান রিজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিগত বছরে আমাদের মনে যত হিংস্রতা, হতাশা ছিল আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মন থেকে সেসব হিংস্রতা, হতাশা সব মুছে গেছে। আলোকিত করেছে আমাদের মনকে।
তিনি আরো বলেন, ‘হাজারো কন্ঠে বর্ষবরণের সঙ্গে সবাই একই সুরের ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছে।’
রিজওয়ানা চৌধুরী চ্যানেল আইকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান সুরের ধারা অনুষ্ঠান এভাবে প্রচারের জন্য। যা এখন কোটি বাঙ্গালির প্রাণে ছেঁয়ে গেছে।
ভোর কাটিয়ে যখন এক টুকরো রোদ এসে কপাল জুড়ে বসল সুরেরধারা’র আয়োজন শেষে মঞ্চে হাজির হলেন একঝাঁক তারকারা। একে একে মঞ্চ মাতিয়ে তুলনেন কণ্ঠশিল্পী আবিদা সুলতানা, সেরা কণ্ঠের কোনাল, মনির খান এবং সর্বশেষ আর্কষণ হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত হলেন জনপ্রিয় ব্যান্ডদল এলআরবি।
গানের ফাঁকে ফাঁকে নতুন বছরে নতুন রঙে মঞ্চে হাজির হন চ্যানেল আই সুপারস্টাররা। উৎসবের একপর্যায়ে আনন্দআলোর বর্ষপূর্তিতে কেক কেটে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন সম্পাদক রেজওয়ান রহমান।
উপচে পড়া দর্শকদের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বিপুল পরিমাণে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিয়োজিত ছিল।