উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর রাজধানী হাজারীবাগের সব ট্যানারি কারখানার গ্যাস-পানি ও বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।শনিবার সকালে ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ কাজ শুরু হয়। এ অভিযান রোববার দুপুর পর্যন্ত চলবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইসুল ইসলাম মন্ডল।
এদিকে সাভারে সব ট্যানারিকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার আগেই এভাবে বন্ধ করে দেওয়াকে চামড়া শিল্পের জন্য অপুরণীয় ক্ষতি বলে অভিযোগ করেছেন ট্যানারি মালিকেরা।
মিলন ট্যানারির মালিক মো: জাকির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: সব ট্যানারিকে এখনও সাভারে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। আমি নিজেও পাইনি। এ অবস্থায় আমাদের সময় না দিয়ে বন্ধ করে দিলে শুধু আমি নই ক্ষতিগ্রস্ত হবে অনেক মালিক। হুমকির মধ্যে পড়বে ৬০ বছর ধরে গড়ে ওঠা চামড়া শিল্প।
গত ২৯ মার্চ হাজারীবাগের সব ট্যানারি কারখানার বন্ধ এবং কারখানাগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া আদেশ হাইকোর্টের বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ৬ মার্চ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ অবিলম্বে হাজারীবাগে থাকা সব ট্যানারি কারখানা বন্ধ করতে ও গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সেই আদেশ সংশোধন চেয়ে আগামী ঈদ-উল-আযহা পর্যন্ত সময় চেয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আবেদনের করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।
পরিবেশ ও নদী দূষণের কারণে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে কাঁচা চামড়া কারখানা ট্যানারি সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৪ সালে। এ সময়ের মধ্যে সাভারের হরিনদরায় চামড়া শিল্প নগরীর জন্য নির্ধারিত স্থানে কেন্দ্রিয় বর্জ্য শোধনের দুটি মডিউল স্থাপিত করা হয়। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়।
ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এক যুগে বহুবার সময় নিয়েছেন। তবে স্থানান্তর করেননি একটি ট্যানারিও।
শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ১৫৫ জন ট্যানারি মালিককে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণের ২৫০ কোটি টাকাও দেয়া হয়েছে। চামড়া শিল্প নগরী উন্নয়নে সরকারি কাজের ৮০ শতাংশও শেষ হয়েছে।
তবুও ১২ বছর ধরে একের পর এক কারণ দেখিয়ে ট্যানারি সরাননি ব্যবসায়ীরা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টটে: