হাওরবেষ্টিত দুর্গম উপজেলা হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে শহরে রোগী নিয়ে যেতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।
হবিগঞ্জ শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের হাওরবেষ্টিত উপজেলা আজমিরিগঞ্জে হাওরের বুক চিরে মাটির কাঁচা রাস্তাই শহরের সঙ্গে এ জনপদের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র উপায়। ভাঙাচোরা রাস্তায় একমাত্র যানবাহন হল চাঁদের গাড়ি। অ্যাম্বুলেন্স চলার মতো ভালো রাস্তা না থাকায় বিপদের সময় সার্ভিস পাওয়া যায় না।
আজমিরিগঞ্জের স্থানীয়রা বলেন, জরুরি অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাদের অনেক সমস্যা হয়। বিশেষকরে গর্ভবতী মায়েদেরকে হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসতে পারেনা তারা। উপজেলা সদরের এ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিও চলছে ঢিমেতালে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে না হাওরের প্রান্তিক মানুষ।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের আত্মীয়রা বলেন, গরীব মানুষ বলে তারা এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু এখানেও তারা যথাযথ চিকিৎসা সুবিধা পাননা। ২/৩ বোতল স্যালাইন দেয়ার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বলেন হাসপাতালে আর স্যালাইন নেই। বাহির থেকে রোগীর আত্মীয়দের কিনে আনতে বলেন। তারা আরো বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা দুপুর ১২টার পর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। নিজেদের প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে বসেন।
এখানকার স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থার কথা স্বীকার করছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকও।
সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.শিউলি আক্তার বলেন, অনেক গর্ভবতী মা উপুযুক্ত সেবার অভাবে মারা যান। সবধরণের চিকিৎসা এখানে করা সম্ভব হয়না।
আগে হাসপাতালে গর্ভবতী মাদের জন্য সিজারের বিভিন্ন সুবিধা ছিল। কিন্তু এখন হাসপাতালে অ্যানস্থেটি, প্যাথলজির কোনো সুবিধা নেই। রোগী আসলে তারা যতটুকু পারেন,ততটুকু সেবা দেয়ার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, তাদের জীবন মান উন্নয়নে রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি দরকার উন্নত স্বাস্থ্যসেবা।