নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, হত্যার উদ্দেশ্যেই তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন: আধাঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিলাম, তখন পুলিশ আসতে পারতো। ত্বকী হত্যার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আন্দোলনে তো আমিই ছিলাম। তখন তো পুলিশ চলে আসতো মাঝখানে। একতরফা এভাবে কেউ মার খাইনি।
শামীম ওসমানের সমর্থক ও সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
তিনি বলেন: আমার দেড়শ’ থেকে দুইশ’ কর্মীকে আহত করলো। আমার কর্মীদের সবার মাথা ফাঁটা। আমার ভাই আহত, আমি হাঁটতে পারি না। প্রশাসন আমাকে ইনফর্ম করতে পারতো। বলতে পারতো, ওখানে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে, আপনি যাবেন না ওখানে। আমরা যারা মানুষের জন্য কাজ করি তারা জন্মমৃত্যু নিয়েই কাজ করি।
অতীতের প্রসঙ্গ তুলে আইভী বলেন: মাসখানেক আগে আনিসুল হকের মরদেহ যেদিন আসলো সেদিন আমার গাড়ির ছয়টা নাট একসঙ্গে খুলে গেলো। কিভাবে হলো? ছয়টা নাট কখনো একসঙ্গে খুলতে পারে? এসব মিডিয়ায় বলিনি। মৃত্যুর ভয় আমি কখনোই পাইনা। ১৪ বছর আমি একাই চলি। পিস্তলও আমার কাছে নাই।
নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী সমর্থকদের সংঘর্ষে মেয়র আইভী, সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই শতাধিক শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সেসময় অস্ত্র উঁচিয়ে তেড়ে গেলে গণধোলাইয়ের শিকার হন শামীম ওসমানের সমর্থক নিয়াজুল।