ভিসা পাসপোর্ট হাতে নিয়ে টিকিটের জন্য হতাশা আর অনিশ্চয়তায় হজক্যাম্পে প্রহর গুনছেন কমপক্ষে আড়াই হাজার হজযাত্রী। সাউদিয়ার একটি ফ্লাইট বাতিল সে সঙ্গে সমন্বয় কমিটির সদস্যদের সন্ধান না পাওয়ায় হতাশা আরো বেড়েছে। সোমবার বিকেল ৫ টার মধ্যে সকল হজযাত্রী নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সরকারের।
অনেকেই হজে যাওয়ার আশায় হজক্যাম্পের বারান্দায় এক সপ্তাহ ধরে পড়ে আছেন। বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ক্যাম্পে অবস্থানরত একজন বলেন, ফ্লাইট ১৬ তারিখ বলে তারা সিলেটে নিয়ে গেছে। সিলেট থেকে একটা লোকাল বাসে করে হজ যাত্রিদের নিয়ে আসছে ঢাকায়। এক ঘন্টা পরে ফ্লাইট হবে, দুই ঘন্টা পরে ফ্লাইট হবে আপনাদের নিয়ে যাবো। এরকম করে করে তারা ভিসা দেয় না। এমনকি কোন আত্মীয় স্বজনের সাথে হজযাত্রিদের যোগাযোগেরও কোন ব্যবস্থা করে দিচ্ছে না।
অনিয়মের অভিযোগ করে অপর একজন বলেন, একবার বলছে ১২ টার সময় হবে। আবার বারোটার সময় বলছে ভোর চারটায় হবে। আবার বলছে দুই টায় হবে। আবার দুইটায় বলছে পাঁচটায় হবে। এমন অভিযোগের মাঝেই একজন অভিযোগ করেন, এখন তাদেরকে যোগাযোগ করে পাওয়া যাচ্ছে না। এজেন্সি তালা মাইরে পালাইছে।
এখন টিকেট প্রতি ত্রিশ হাজার টাকা বেশি দাবি করারও অভিযোগ রয়েছে। ভিসাসহ পাসপোর্ট হাতে দিয়ে কিছু এজেন্সির মালিক গা ঢাকা দিয়েছেন। আবার কারো হাতে নেই পাসপোর্টও।
পাশে দাঁড়ানো হাবের সভাপতি অবশ্য অস্বীকার করলেন এ অভিযোগ। হাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল বলেন, এখানে কোন দুর্নীতি নাই। আমরা সরকারের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে হাবের পক্ষ থেকে সমস্ত শক্তি দিয়ে আমরা এই পর্যন্ত আসছি।
হজযাত্রীদের এ অবস্থায় সকাল থেকে হজক্যাম্পে অফিস করেছেন ধর্মসচিব চৌধুরী মোহাম্মদ বাবুল হাসান। তিনি বলেন, আমরা কিন্তু সকল হজযাত্রীর জন্য ব্যবস্থা করেছি।
রিয়াদ, দাম্মাম, মাসকাট, কুয়েত, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের সকল রুটে ঢাকা থেকে ফ্লাইট বাতিল করে বিমানের ১২টি ফ্লাইট জেদ্দামুখী করা হয়েছে শুধু হজযাত্রী পরিবহনের জন্য। এ জন্য আফলোড করা হয়েছে এসব রুটের প্রায় ৩ হাজার শিডিউল যাত্রীকে। সোমবার বিকেলের মধ্যেই এসব যাত্রী পরিবহন শেষ করার কথা বলেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।