অনেক আশার কথা শুনিয়ে পাকিস্তান সফরে গেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচে হতাশার হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে, শেষপর্যন্ত বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেননি সালমা-রুমানারা। হতাশার বৃত্ত ভরাট করে পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছেন তারা। তৃতীয় তথা শেষ লড়াইয়ে, লো-স্কোরিং ম্যাচেও ২৮ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা।
টস হারলেও টাইট বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১১৭ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাট হাতে সেই একই ছবি। অর্থাৎ, প্রথম দুই ম্যাচের ফটোকপি ধরে রেখে ৮৯ রানেই থেমে যায় সফরকারীরা। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজে ফাইনাল ফলাফল ৩-০।
প্রথম ম্যাচে ১২৭ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ১৪ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচের ১৬৮ রানের বড় টার্গেটে অবশ্য হেরেছিল মাত্র ১৫ রানে। কিন্তু শেষ ম্যাচে ১১৮ রানের সবচেয়ে ছোট লক্ষ্যেও হার সিরিজের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে।
বল হাতে শুরু থেকে পাকিস্তানি ব্যাটারদের খাঁচায় আটকে রাখেন জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদ। চার ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন জাহানারা। আর ২ উইকেট নিতে চার ওভারে ১৯ রান খরচ করেন রুমানা। মাঝে এক উইকেট নিয়ে তাদের সঙ্গ দেন পান্না ঘোষ।
বাংলাদেশের ‘নিখুঁত’ বোলিংয়ে সামনেও পাকিস্তানের ইনিংস টানেন জাভেরিয়া খান ও ওমাইমা সোহাইল। ৪৮ বলে সাত চারে ৫৪ রান করেন জাভেরিয়া। আর ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন সোহাইল। বাকিদের কেউ দুই অঙ্ক ধরতে পারেননি।
পাকিস্তান ইনিংসের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের রানের গতির চেয়ে উইকেট হারানোর গতিই ছিল বেশি। ২ রানেই নাই হয়ে যান প্রথম তিন ব্যাটসম্যান। কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন নিগার সুলতানা (৩০) ও ফারহানা হক (২৭)। তাদের চেষ্টা খুব একটা কাজে আসেনি। অন্যদের দিকভ্রান্ত ব্যাটিংয়ে জয় তো দূরের কথা শেষপর্যন্ত রানের হিসাবে দলীয় ‘সেঞ্চুরি’টাও ছোঁয়া সম্ভব হয়নি।
পাকিস্তানের হয়ে আনাম আমি ও সাবা নাজির নেন দুটি করে উইকেট। ম্যাচসেরা পাকিস্তানের জাভেরিয়া খান। আর সিরিজ সেরা তার সতীর্থ অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ।
টি-টুয়েন্টির পর দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে দুদল। ২ অক্টোবর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে। একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচ ৪ নভেম্বর।