খুলনায় শেখ আবু নাসের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে পাকিস্তান। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ২০৫ রানে লিড নিয়েছে তারা। তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটের হারিয়ে ৫৩৭ রান।
আসাদ শফিক ও সরফরাজ আহমেদ ৫১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই সতর্ক থেকে ব্যাট করছিলেন গতকাল থেকে উইকেটে জেকে বসা সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ হাফিজ এবং আজহার আলি। ওই জুটি দলীয় স্কোর বোর্ডে যোগ করে ২২৭ রান।
এর আগে ১০৫ রানে পিছিয়ে থেকে মিসবাহ বাহিনী তৃতীয় দিন শুরু করে।
হাফিজের সাথে ২২৭ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওয়ানডে অধিনায়ক আজাহার আলী। ব্যক্তিগত ৮৩ রানে শুভাগত হোমের শিকার হন তিনি।
এরপরই ফেরেন অভিজ্ঞ ইউনুস খান। তার সংগ্রহ ছিল ৩৩ রান। তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি।
ইউনুস খানের বিদায়ের পর দলীয় অধিনায়ক মিজবাহ উল হকের সাথে ৬৩ রানের জুটি গড়ে ফেরেন হাফিজ। ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মত ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজ। আজাহার আলীর পর হাফিজ শুভাগত হোমর দ্বিতীয় শিকার। শুভাগতোর বলে লেগ স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা মাহামুদুল্লার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
হাফিজের বিদায়ে মিজবাহের সাথে জুটি বাঁধেন আসাদ শফিক। তাদের জুটি থেকে আসে ৬৬ রান। এবার মিজবাহকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের বলে রুবেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
অধিনায়কের বিদায়ে ক্রিজে আসেন উইকেট রক্ষক সরফরাজ আহমেদ। দিনের শেষ পর্যন্ত তারা অবিচ্ছিন্ন থেকে মাঠ ছাড়ে। তাদের দুজনের জুটি থেকে আসে ১০৭ রান।
এর আগে টেস্টের প্রথম দিন চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৩৬ রান। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৯৬ রান যোগ করে ৩৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় মুশফিক বাহিনী।
আঙুলে চোঁটের কারণে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। যদিও এক্স-রের পরে সে আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়ে ছিলেন মিডিয়া ম্যানেজার। আরও সুস্থতার কারণে তাকে এখন পর্যন্ত বিশ্রামে রাখা হলেও দলের প্রয়োজনে আবারও মাঠে দেখা যাবে তাকে।