নতুন কর্মসূচি চলার মধ্যে হঠাৎ করেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির দুই সিনিয়র নেতা। তবে তাদের মধ্যে ঠিক কী বিষয়ে কথা হয়েছে? তা না জানা গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, দলীয় চেয়ারপার্সনের সুচিকিৎসার উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এসময় দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘খারাপ’ উল্লেখ করে ইউনাইটেড হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানান তারা।
এছাড়াও বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে বাধা না দিতে মন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
বৈঠক শেষে আসাদুজ্জামান খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য জেলকোড অনুযায়ী যা করা যায় তার সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘জেলকোডের বাইরে কিছু করতে হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী যা করা দরকার সব করা হবে।’
কারাবন্দীর হওয়ার পর থেকে ‘সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া’ এমন মন্তব্য করে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা বলে আসছে বিএনপি।
রোববার খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ৮ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি দুর্নীতি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
একই মামলায় তার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে এই মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
সেই সঙ্গে খালেদা তারেকসহ দণ্ডিত সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়।
এই রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালত তাকে চার মাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় তিনি মুক্তি পাননি।