চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

হজ যাত্রীদের অসংখ্য পাসপোর্টসহ চারজন আটক

রাজধানীর এক আবাসিক হোটেল থেকে হজ যাত্রীদের প্রায় সাড়ে চারশ পাসপোর্ট আটক করেছে পুলিশ ও হজ ক্যাম্প অফিস। জড়িত সন্দেহে এ চক্রের ৪ জনকে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। হজে পাঠানোর নাম করে হজ মৌসুমে এরা প্রতিবছর মানবপাচার করে বলে অভিযোগ এজেন্সী মালিকদের।

হজ মৌসুম এলে আশকোনা হজ ক্যাম্পের আশেপাশে গড়ে উঠা আবাসিক হোটেলে হজ এজেন্ট এবং যাত্রীদের আনাগোনা বাড়ে। এসব হোটেল থেকেই চলে বিভিন্ন এজেন্সীর প্রতরণার কার্যক্রমও।

রাত আনুমানিক ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হজ ক্যাম্পের কর্মকর্তারা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালায় হলিডে এক্সপ্রেস হোটেলে। হোটেলে অবস্থান করা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হাজিদের নাম নিবন্ধিত না হওয়া প্রায় সাড়ে চারশ পাসপোর্ট।

হজ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় নিবন্ধিত নাম কেটে আটককৃতরা নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করায় বলে অভিযোগ করেন এজেন্সী মালিকরা।

ধর্ম মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য রেজাউল করিম উজ্জ্বল বলেন, একটি ব্যক্তির কাছে এতগুলো পাসপোর্ট কিভাবে আসে? এই পাসপোর্টগুলো ব্যবহার করে রাতের অন্ধকারে মানব পাচার হচ্ছে। এই ট্রাভেল এজেন্সির মালিক হচ্ছেন আমাদের যুগ্ম মহাসচিব হাসান জাহাঙ্গিরের ছেলের পার্টনার।

প্রথমে স্বীকার না করলেও পাসপোর্টগুলো তাদেরই বলে পরে স্বীকার করে আটককৃতরা। প্রতারক চক্রের এজেন্ট ওহিদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আমরা জানতে পারলাম কোটা নাকি অতিরিক্ত ঢুকে গেছে। খালি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যার কারণে আমরা হাজিদের চাপে চেষ্টা করতে ছিলাম নামগুলা ঢুকানোর জন্য।

প্রতারক চক্রের আরেক এজেন্ট আবদুল্লাহ আল হাফিজ বলেন, আমার হলো টোটাল ২৭২ জন। মোয়াল্লিম ফিজিও জমা দেয়া আছে ১৫০ জন। আর ৭ জন ডাটা এন্ট্রি করা আছে। যেকোন সময় উনি আমাকে ডাক দিতে পারেন। এই কারনেই প্রতিনিয়ত আমি আসতেছি। পাসপোর্টগুলা আমার সাথে রাখতেছি।

এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় পুলিশ। বিমানবন্দর থানার এসআই এস এম ফয়েজ বলেন, উনারা বলেন যে উনাদের পাসপোর্ট। এখন হজ অফিস সিদ্ধান্ত দেবে যে এটা কাদের পাসপোর্ট। এখন যদি সিদ্ধান্ত হয় যে ওদের এন্ট্রি নাই, এখানে পরিচালক মহোদয় আসবেন। উনার কথার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা হবে।