মানবপাচার বিষয়ে সৌদি আরবের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রথমে ওই হজ-ওমরাহ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তারপর এজেন্সির মালিককে মানবপাচারের দায়ে আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
তিনি বলেছেন, আসন্ন হজের আগেই অভিযুক্ত ১০৪ এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ওমরায় মানবপাচারের অভিযোগে এনে এবছর ২৩ মার্চের পর বাংলাদেশ থেকে কোনো ওমরাহ ভিসা দেয়নি সৌদি সরকার। যে কারণে পবিত্র রমজানেও ওমরায় যেতে পারেননি কোনো বাংলাদেশী।
সৌদি সরকার বাংলাদেশের ১০৪ ওমরা এজেন্টের একটি তালিকা বাংলাদেশে সরকারের কাছে পাঠিয়ে বলেছে; ওই সব এজেন্টের মাধ্যমে এবছর ১১ হাজার ৪শ ৮৫ জন ওমরায় যেয়ে আর সৌদি আরব থেকে ফেরেনি। এসব এজেন্সির তালিকার মধ্যে হাব ও আটাবের শীর্ষ নেতাদের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে বলে জানা যায়।
পুনরায় বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ ভিসা চালু করতে এসব বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে এনে অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে সৌদি সরকার। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করেছে ধর্মমন্ত্রণালয়।
ধর্মমন্ত্রী বলেছেন, মানবপাচার প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সে সরকার। যারা মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের প্রত্যেকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশী এসব এজেন্টের সৌদি আরবের কাউন্টার পার্ট যারা মানবপাচারে সহযোগীতা করেছে ওই রকম ৭ সৌদি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি সরকার।