হজ ব্যবস্থাপনায় সরকারের অনিয়ম হয়েছে দাবি করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে কোটার বাইরে হজে যেতে ইচ্ছুকদের এজেন্সিগুলো। মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অপসারণও চেয়েছে তারা। ধর্মমন্ত্রীর দাবি নিয়ম মেনেই চলছে এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনা আন্দোলনের নামে যে কোন বিশৃংখলার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করেছেন।
কোটার বাইরে হজে যেতে ইচ্ছুক যারা তাদেরই এজেন্সিগুলোর এই সংবাদ সম্মেলন। সরকারের এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম নিয়ে নানান প্রশ্ন তোলেন তারা।
আন্দোলনকারী হজ এজেন্টদের প্রতিনিধি মো: রুহুল আমিন মিন্টু বলেন, সচিব, যুগ্ন সচিব এবং পরিচালক হজ্ব এবং আমাদের মন্ত্রীসহ যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি। তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
হজ এজেন্টদের সংগঠন হাব এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। তারা বলেন, আমাদের হাবের মহাসচিব, হাবের মহাসচিব এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। তাদের চক্রান্ত এবং অর্থ লিপ্সার কারনে বাংলাদেশ থেকে ১১ হাজার হজ্ যাত্রী হজে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এদিকে হজ নিয়ে অনিয়মের প্রশ্নই ওঠে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, দুর্নীতি আমি করি নাই এবং কাউকে করতে দেই নাই। তবে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এক শ্রেনীর লোক জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বদনাম করে, আমাদের আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বদনাম করে।
তিনি আরো বলেন, যে কেউ দুর্নীতি করে থাকে এবং আমার নোটিশে আনতে পারে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করে বলেন, আন্দোলনের নামে যারা অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫শ জনের হজ ভিসা সম্পন্ন হয়েছে।