মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ফড়িয়াদের কাছে টাকা দিয়ে অনেকেরই এখন হজে যাওয়া অনিশ্চিত। এদিকে, যাত্রীর অভাবে শনিবারও স্থগিত করা হয়েছে বিমানের একটি ফ্লাইট। ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত হওয়া এইসব হজযাত্রীরা শেষ মুহুর্তে আদৌ হজে যেতে পারবেন কিনা এ নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ থেকে বিমানের শেষ হজ ফ্লাইট ২৬ আগস্ট। অর্থাৎ হাতে আছে আর মাত্র ১৫দিন। এই সময়ের মধ্যে শুধু বিমানকেই পরিবহণ করতে হবে ৩৬ হাজার ৫শ’ ৯৫ জন হজযাত্রী। প্রতিদিন গড়ে প্রায় আড়াই হাজার।
সৌদী আরবে ফ্লাইট ওঠা-নামার জন্য বিমানের স্লটের সীমাবদ্ধতা, এয়ারক্রাফট সংকট সব কিছু মিলে কাজটি বিমানের জন্য খুবই কঠিন। এদিকে আশকোনা হজ ক্যাম্প একেবারেই হজযাত্রী শূন্য। হজ অফিস বলছে ভিসা নিয়েও যেসব এজেন্ট হজযাত্রী পাঠাচ্ছে না তাদের বার বার বলেও কাজ হচ্ছে না।
ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি অন্যবারের মতোই এবারও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্বে নাকাল সাধারণ হজযাত্রী। লালমনিরহাটের কলেজ শিক্ষক মারুফ হাসানের বাবাকে ভিসা দিয়ে এজেন্টরা অনেকটা জোর করেই শুক্রবার ফ্লাইটে তুলে দিচ্ছেন। বাড়ি থেকে এক সঙ্গে আসা তার মায়ের ভিসার জন্য তিনি এখন ঘুরছেন হজক্যাম্পে।
যাদের হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে বা প্রতারিত হয়েছেন হজ অফিস বলছে তাদের বেশীরভাগই সরাসরি এজেন্টকে টাকা না দিয়ে টাকা দিয়েছেন পরিচিত কোন ঈমাম, মওলানা কিংবা পরিচিত কাউকে। আগামীতে এসব মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ হজ অফিসের।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: