দূষণ এবং মানুষের অপরিণামদর্শীতাকে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ এই বিজ্ঞানী।
সাক্ষাতকারধর্মী জনপ্রিয় ‘ল্যারি কিং নাউ’ অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মানবজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজের এই উদ্বেগ তুলে ধরেন হকিং। প্রফেসর হকিং বলেন,‘ আমাদের লোভ এবং বোকামী কোনোটিই কমেনি’।
বিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে তিনি আরও বলেন,‘ আজ থেকে বছর ছয়েক আগেই আমি দূষণ এবং মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। ছয় বছর পর আজ বিশ্ব জনসংখ্যা প্রায় ৫০ কোটি বেড়েছে।
এভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ১১’শ কোটি। যেভাবে বায়ু দূষণ বেড়েছে তাতে শহরে বসবাসকারী ৮০ শতাংশ মানুষ সরাসরি বায়ু দূষণের পরিণাম ভোগ করবে’।
যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির অপপ্রয়োগের সমালোচনা করে স্টিফেন হকিং বলেন, ‘ সরকারগুলো অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র তৈরিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। অথচ চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রযুক্তি কাজে লাগানোর চেষ্টাকে খুব একটা প্রাধান্য দিতে দেখা যাচ্ছে না’।