হংকংয়ের জেলা পরিষদ নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থিদের বড় জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
সাউথ চায়না পোস্ট জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ঘোষিত আসনের মধ্যে গণতন্ত্রপন্থিরা পেয়েছেন ২৭৮টি আসন। অন্যদিকে চীনপন্থিরা মাত্র ৪২টি আসন পেয়েছেন।
এ পর্যন্ত পরাজিতদের মধ্যে চীনপন্থি জুনিয়াস হো অন্যতম, যিনি হংকংয়ের বিক্ষোভ দমনে চীন ও পুলিশের ঘোর সমর্থন করে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
তবে গণতন্ত্রপন্থি জশুয়া ওং চীন সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। কিন্তু তারপরও গণতন্ত্রপন্থিদের এগিয়ে থাকার বিষয় ইঙ্গিত করে এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, এ নির্বাচনের ফলাফলে গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলনের পক্ষে হংকংবাসীর সমর্থনের প্রকাশ ঘটেছে।
হংকংয়ের মোট জনসংখ্যা ৭৪ লাখের অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ ৪১ লাখ লোক এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিবন্ধন করেন। ৪৫২টি আসনের জন্য ভোট দেন ২৯ লক্ষাধিক ভোটার, যা ২০১৫ সালের ৪৭ শতাংশের সর্বোচ্চ রেকর্ড ভেঙ্গে ৭১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারী দলগুলোর আশা ছিল, টানা পাঁচ মাসের অস্থিরতা ও সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর এই ভোটের মধ্য দিয়ে চীন সরকারের কাছে একটি বার্তা পৌঁছানো সম্ভব হবে। দলগুলো সেই আশা পূরণ হবে বলে মনে করছে।
হংকংয়ের জেলা পরিষদের কাউন্সিলরদের রাজনৈতিক ক্ষমতা মূলত খুবই কম। যা ক্ষমতা আছে তার সবই স্থানীয় কর্মকাণ্ডের জন্য। তাই এই নির্বাচন সাধারণত জনগণের মাঝে তেমন একটা আগ্রহ তৈরি করে না।
কিন্তু টানা পাঁচ মাসের চলমান বিক্ষোভ সংঘাতের পর এটিই প্রথম একটি নির্বাচন যেখানে তারা ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে বিধ্বস্ত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যামের উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলানোর বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ পেল।
আর এই ভোটগ্রহণের সময়টাই গত পাঁচ মাসে এই প্রথম কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, সংঘাত বা অস্থিরতা ছাড়া কাটিয়েছে হংকংবাসী।