সড়কে মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কয়েকটি বড় ধরনের আন্দোলন হলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের টনক নড়েছে বলে মনে হয় না। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে জয়পুরহাটে বানিয়াপারায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহত হয়েছেন ৮ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১২ জন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। যানজটে আটকে পড়া গাড়ির চালকদের ঘুম ভাঙাতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় ফরিদ আহমেদ নামে হাইওয়ে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে মালিবাগ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।
এভাবেই সড়কে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার মধ্যে দু’য়েকটা হয়তো খবরে আসে। বাকিগুলো থেকে যায় অন্তরালে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের তেমন কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।
তবে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সরকার যে একেবারে চিন্তিত নয়, বিষয়টি তেমনও না। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলো- গাড়িচালক ও তার সহকারিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। লং ড্রাইভে বিকল্প চালক রাখা, যাতে পাঁচ ঘন্টার বেশি কোনো চালককে একটানা দূরপাল্লায় গাড়ি চালাতে না হয়।
এছাড়া ওই নির্দেশনায় ছিল- নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর সড়কের পাশে সার্ভিস সেন্টার বা বিশ্রামাগার তৈরি করা, অনিয়মিতভাবে রাস্তা পারাপার বন্ধ করা, সড়কে সিগনাল মেনে চলা নিশ্চিত করা এবং জেব্রাক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা। চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট বাধা নিশ্চিত করা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের, তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন না বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যায়।
আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে আসবে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে আন্দোলন হলে শুধু সেসময় সরব না হয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।