সারাদিন মিছিল করে ক্লান্তদেহে রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরে খাবার খেয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম ২৪ মার্চ, ১৯৭৫। মিছিলগুলি অসহযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। আর মূল দাবী ছিল “সংলাপ ছাড়-বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা দাও”।
দেখতে দেখতে ৫০টি বছর পেরিয়ে এলাম বটে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি আজও অম্লান। ঐ রাতে ১২টার পরে অর্থাৎ ২৫ মার্চ ২০০ পাক সেনা ঘুমন্ত পাবনা শহরে অতর্কিতে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই তারা পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহ বিশাল প্রাঙ্গন দখল নিয়ে তাদের হেড কোয়ার্টার স্থাপন করে। টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন দখল নিয়ে ২৮জন আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে র্স্বক্ষণিক পাহাড়ায় নিয়োজিত হয়-দেশ বিদেশের সাথে সংযোগ স্থাপন যাতে না করা যায় তাই সমস্ত্র টেলিফোন সংযোগ তরা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান দূরের কথা-একই শহরে বাস করে টেলিফোনে কথা বলার সুযেগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সার্বিক অসহযোগিতায় লিপ্ত পাবনাবাসীর ঘুম ভাঙ্গার আগেই একটি মাইকের দোকান ভেঙ্গে অনুরূপ অসহযোগে লিপ্ত এক রিক্স শ্রমিককে তার বাড়ী থেকে জোর করে ডেকে এনে মাইক বেঁধে ভোর হওয়ার আগেই ঊর্দুভাষী এক পাকসেনা ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় পাবনা শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে। ক্ষীণকণ্ঠে অস্পষ্ট ভাষায় ভোররাতে জারি করা ঐ কারফিউ এর খবর ঘুমন্ত পাবনাবাসী শুনতে পান নি।
সপরিবারে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় অতি প্রত্যুষে পাবনা জেলা স্কুলের হেড মাওলানা কছিম উদ্দিন তাঁর সাইকেলে চড়ে আমাদের বাসায় দুর্বল দরজা ভেঙ্গে ঢুকে নাম ধরে ডাকছেন। হন্তদন্ত হয়ে উঠে দরজা খুলে দেখি মওলানা সাইকেলে হাত ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে। আমাকে দেখেই বললেন, “রণেশ, গভীর রাতে পাবনাতে বিপুল সংখ্যক মিলিটারী ঢুকে পড়েছে। তুমি টার্গেট হতে পর-এখুনি কোন নিরাপদ আশ্রয়ে স্বপরিবারে চলে যাও।”
বললাম, “মওলানা সাহেব, তা যাব কিন্তু কিছু সময় লাগবে। আপনি পাঁচ মিনিট বসুন এক পেয়ালা চা খেয়ে যাবেন।” অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি সাইকেলে চড়তে চড়তে বললেন, “চা খাওয়ার সময় নেই রণেশ। ক্যাপ্টেন মনসুর সহ সকল আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ নেতা ও ছাত্র নেতাদের খবর দিতে যাচ্ছি। কেউই হয়তো জানে না-টেলিফোন সংযোগ ওরা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াতে” বলেই তিনি জোরে সাইকেল চালিয়ে চলে গেলেন। ওনার সাথে ঐ শেষ দেখা ।
তাড়াতাড়ি এক কাপড়ে সপরিবারে একই পাড়ায় অরাজনৈতিক সাংবাদিক মীর্জা শামসুল ইসলাম এর বাসায় আশ্রয় নিলাম। তর আগে নিজ বাসায় দ্রুত চা নাস্তা খেয়ে, লোক মারফত ছাত্র ইউনিয়নের ছেলেদের কাছে খবর পাঠিয়ে নিজেদের ছোট্ট রেডিও খুলে ঢাকা থেকে ইয়াহিয়ার ভাষণ শুনতেই দ্রুত আকাশবাণী ধরে বারবার “আমার সোনার বাংলা” গানটি গাইতে ও মাঝে মাঝে গত রাতে ঢাকায় অতর্কিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার হলগুলিতে এবং পুলিশ ও ইপি আর হেড কোয়ার্টারে হামলা চালিয়ে অসংখ্য মৃত্যু ঘটিয়েছে পাক-সেনারা এমন খবরও পরিবেশিত হচ্ছে শুনলাম। আকাশবাণী এও জানায় পূর্ব পাকিস্তান থেকে খবর পাঠানোর সব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়ায় সব খবর জানানো না গেলেও যখন যা পাওয়া যাবে তৎক্ষণাৎ প্রচার করা হবে। সারাদিন রাতই আকাশবানী পূর্ব বাংলার পরিস্থিতি জানিয়ে খবর প্রকাশ করেছে আর সোনার বাংলা গানটি পরিবেশন করে মানুষের মনে সাহস যুগিয়েছে।
পরদিন ২৬ মার্চ ছাত্রলীগ-ছাত্রইউনিয়নের কর্মীরা কারফিউ এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ী বাড়ী গিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করে প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্যে। সবাই অস্ত্র দিয়েও দেন স্বত:স্ফুর্তভাবে। এই দিনে পাবনার আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এন এ আমজাদ হোসেন, তদানীন্তন পাবনার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নূরুল কাদের খান সি এস পি, ন্যাপ নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা, ছাত্র নেতা রফিকুল ইসলাম বকুল, বেবী ইসলাম ও আরও ২/১ জন সহ একটি হাইকম্যাণ্ড গঠিত হয়।
২৭, ২৮ ও ২৯ মার্চ বিভিন্ন স্থানে পাক বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও গেরিলা যুদ্ধে বহু পাক সেনা নিহত হয় এবং ২৯ মার্চ তারা ট্রাকে করে নাটোর ক্যান্টমেন্টে পালিয়ে যাওয়ার পথে নাটোরের গোপালপুর পর্যন্ত পৌঁছাতে সব ট্রকের সবগুলি পাক-সেনা ও ড্রাইভাররাও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়। পাবনাতে ২৫ মার্চ রাত্রে আসা ২০০ পাক-সেনার একজনও বাঁচতে পাড়ে নি। রাস্তায় নানাস্থানে ব্যারিকেড ও গেরিলা যুদ্ধে পথে পথেই তারা প্রাণ হারায়। আবার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যেও কিছু সংখ্যক পাক-সেনারা পলায়নকর অবস্থায় গুলি ছুঁড়তে থাকায় পথে পথে নিহত হয়-লাশগুলিও পড়ে থাকে।
এভাবে ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় পাবনা প্রথম দফায় স্বাধীন হলো-শত্রুমুক্ত হলো। পূর্ব-বাংলার মধ্যে প্রথম জেলা পাবনা সেখানে আসা সব সেনাকে হত্যা করে সর্বপ্রথম স্বাধীন হয়-পরদিন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন ও নতুন প্রশাসন চালূু করা হয়। কাগজ কেটে নানা মূল্যের নতুন মুদ্রা বৈধভাবে চালু করা হয়। প্রতিরোধ যোদ্ধারা আইনশৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
কিন্তু হাইকম্যাণ্ড উদ্বিগ্ন। দ্বিতীয় দফা অধিকতর শক্তিশালী হামলা সুনিনিশ্চত কিন্তু তা প্রতিরোধের উপায় কি? একদিকে পুলিশ আনসরদের দায়িত্ব দেওয়া হলো যুবকদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অপর দিকে ন্যাপ নেতা রণেশ মৈত্র (এই নিবন্ধের লেখক) ও আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আমজাদ হোসেনকে হাইকম্যাণ্ডের পক্ষ থেকে ডি.এম.নূরুল কাদের ডেকে বললেন দ্রুত কলকাতা দিয়ে ভারত সরকারের সাথে যোগাযোগ করে কিছু ভারী অস্ত্র ও সেনা প্রশিক্ষক পাঠাতে যাতে দ্বিতীয় দফা আক্রমণও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। আমরা দুজনই রিক্ত হস্ত জেনে নূরুল কাদের দু’জনের হাতে দুটি ৫০ টাকার পাকিস্তানী নোট ধরিয়ে দিয়ে বললেন-এটা আপনাদের প্যাসেজ মানি। বাদবাকী ওখানে সংগ্রহ করেন।
কলকাতায় আমাদের পরিচিতি কথা তুললে নূরুল কাদের বললেন, রণেশ বাবু আমি আপনাকে বহুভাবে চিনি। আপনার পার্টি পৃথিবীর সর্বত্র তাই পরিচিতি কেন-কোন সমস্যাই আশা করি হবে না। তবে আপনাদের বিদেশ যাত্রার কথা কাউকে, এমন কি, নিজের স্ত্রীকেও জানাবেন না নিরাপত্তার স্বার্থে। তাই শুধুমাত্র স্ত্রীকে বললাম, মুক্তিযুদ্ধের একটা গোপন মিশনে বাইরে যাচ্ছি-কয়েকদিনের মধ্যেই ফিরে আসবো। পরিবারটিকে নিয়ে ৩০ মার্চ তারিখেই শহর থেকে ছয় মাইলদূরে এক গ্রামে একজন ব্যবসায়ীর বাড়ীতে রেখে অজানা উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ১ এপ্রিল তারিখে।
সেদিন প্রত্যুষে পাবনার সরকারি জীপে আমাদেরকে ভেড়ামারার এমপির বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়া হয়। তিনি চা-নাস্তা খাইয়ে একজনকে ডাকলে তিনি তাঁর কেনা নতুন কার নিয়ে এলেন। এমপি আমাদেরকে তৎক্ষণাৎ গাড়ীতে নিয়ে শিকারপুর সীমান্তে পৌঁছে দিতে বললাম। গাড়িটির মালিক নিজেই চালিয়ে নিলেন দ্রুততার সাথে। কিন্তু তিনি জানতেন না পথে মাঝে মাঝেই পাক সেনাদের চলাচলকে বাধাপ্রপ্ত করার জন্যই ব্যারিকেড করা আছেন। দ্রুততার সাথে চলন্ত গাড়ীটি একটি বড় ধরণের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে ৪/৫ দফা উল্টে যায়। চালক কোনভাবে নেমে ভেড়ামারা চলে যান-বিধ্বস্ত গাড়ীকে ওখানে রেখেই। আমাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম দেখে গ্রামবাসী নামিয় এনে মাঠের মধ্যে এক গাছের ছায়ায় শুয়ে দেয়। মাথায় জলও দেয়। জ্ঞান ফিরলে ঘটনা জানলাম এম.পি. সাহেব একটি জীপ পাঠিয়েছেন আমাদেরকে ভেড়ামারায় ফেরত নিয়ে যেতে। সেখানে প্রাথিমিক চিকিৎসা শেষে তাঁর বাড়ীতে রাত কাটিয়ে দু’জন পুনরায় রওনা হলাম শিকারপুরের উদ্দেশ্যে। তবে এবার জীপে।
শিকারপুর সীমান্তে নেমে দেখি সামনে ছোট একটা নদী। দু’জন টেবিল পেতে বসে আছেন আনন্দবাজারসহ ভারতের ঐদিনকার পত্রিকাসহ। দু’টি পত্রিকা নিলাম-দাম দেওয়া গেল না-তাঁরা নিলেন না।
নদীটুকু পার হয়েই করিমপুর। সেখানে দেখি কৃষ্ণনগরগামী কয়েকটি প্রাইভেট বাস দাঁড়িয়ে আছে। জিজ্ঞেস করে জানলাম সরাসরি কলকাতা যাওয়া যাবে না। বাসে কৃষ্ণনগর গিয়ে অত:পর ইলেকট্রিক ট্রেনে শিয়ালদহ। উঠলাম বাসে। কন্ডাক্টার আমাদের কাছে এলেন না। কৃষ্ণনগর পৌঁছে নামবার সময় কন্ডাক্টরকে ভাড়া দিতে চাইলে তিনি নিলেন না। বললেন, আপনারা জয় বাংলার লোক-ভাড়া লাগবে না। বিস্মিত হলাম আমাদের দেশের বেসরকারি বাস মালিকদের কথা ভেবে। এমন অবস্থায় যাত্রীদের গলা কাটতে তাঁরা কি এতটুকু দ্বিধা করতেন? বাসটিতে শুধু আমরা দু’জনেই নই-দলে দলে নারী-পুরুষ সর্বস্ব হারিয়ে ছুটে এসে গাড়ীতে উঠেছেন নিজ দেশে সেনা-নির্য্যাতন থেকে বাঁচতে। তাঁরাও উঠেছেন। ভাড়া তাঁদেরকেও দিতে হলো না।
কৃষ্ণনগর থেকে ট্রেনে উঠলাম। তাতেও প্রচুর বাংলাদেশী শরণার্থী। কাউকেই কিছুতেই ভাড়া দিতে হলো নাÑজয় বাংলার লোক হওয়ার কারণে। তবে পশ্চিম বাংলার যাত্রীদের ঠিকই টিকিট কেটে যেতে দেখলাম।
সন্ধ্যায় শিয়ালদহ জংসন। সাথী আমজাদ ভাই বললেন, রণেশদা, কলকাতা এলাম তো। কিন্তু আমার তো পরিচিত কেউ নেই এখানে। চলুন, শিয়ালদহতেই একটা হোটেলে উঠি। বললাম, হোটেলে উঠবেন? তা-ও শেয়ালদায়? কত টাকা এনেছেন যে ভাড়া, যাওয়া-দাওয়ার বিল দেবেন? কতদিন লাগবে তাই বা কে জানে? আমজাদ ভঅই বললেন, ৫০ টাকার মধ্যে কৃষ্ণনগর হোটেলে থেকে ৫ টাকা খরচ হয়েছে, বাকী ৪৫ টাকা। আছে। আমি বললাম, আমারও তো তাই। সুতরাং হোটেল নয়-কারও বাসায় উঠতে হবে।
এই বলে একটা ট্যাক্সি ডাকলাম-বললাম কালিঘাট যাব। ছুটলাম সেখানে। ভাড়া মিটাবে। ওখানে নেমে কাছেই আমার খুড়তাত ভাই পরিমল মৈত্রের বাসা। ঢুকে পড়লাম সেখানে। সবশুনে তিনি সেখানে থাকতে দিলেন। দেখি ওনার ভাড়া করা বাসার দোতলায় ওনারা থঅকেন-আমাদের জণ্যে বরাদ্দ হলো উপরের চিলেকোঠা। একটি রেডিও এবং খাট-বিছানা। পরিমল দাকে বললাম, আমরা তো এই উদ্দেশ্যে এসেছি। কাউকে চিনি না। আপত্তি সি.পি.আই. এর লোকাল কমিটির কাউকে ডেকে আনলে সব বলে কী করা যায় স্থির করা যেত। দাদা নিজে রাজনীতি করেন না। বললেন, আমি চিনি-তবে এখন তো রাত হয়ে গেছে কাল সকালে একজনকে ডেকে আনব। আনলেনও।
সেই কমরেড বললেন, দেখুন, আমি লোকাল কমিটির সেক্রেটারী। আমার তো এখতিয়ার নেই। আপনাদের যেতে হবে জেলা কমিটির সেক্রেটারী কাছে। বললাম, চলুন ওনার কাছে যাই। উত্তরে উনি বললেন, জেলা কমিটির সেক্রেটারী ক মরেড জগদীশ কলকাতা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক। আমরা যেতে যেতে উনি তো বিশ^বিদ্যালয়ে চলে যাবেন। তার চেয়ে বরং আমি সন্ধ্যায় এসে আপনাদেরকে ওনার বাড়ীতে নিয়ে যাব। সেখানে নিরিবিলি কথা বলবেন।
সন্ধ্যায় তাঁর বাড়ীতে গেলে কমরেড জগদীশবাবু গভীর আন্তরিকতা নিয়ে সব শুনে বললেন, কমরেড-আমি তো জেলা কমিটির দায়িত্বে। আপনাদের দেখা করতে হবে প্রাদেশিক কমিটির নেতাদের সাথে। কমরেড ইলা মিত্রকে চেনেন? তিনি এবং তাঁর স্বামী কমরেড রমেণ মিত্র। বলেই তিনি তাঁদের সাথে ল্যাণ্ডফোনে কথা বললেন। কমরেড ইলা মিত্র বলেন, রণেশদাকে তো আমি চিনি। তাঁদেরকে নিয়ে কাল সকালে আসুন।
পরের দিন জগদীশ বাবু তাঁর গাড়ী নিয়ে কালীঘাটে এসে আমাদেরকে কমরেড ইলামিত্রের মধ্য কলকাতার ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলেন। রমেনদাই মূলত: আলাপ করে সব শুনে বললেন, আপনাদের তো মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে-তবে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির মত কংগ্রেস এবং বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আপনাদের লড়াই এর আন্তরিক ও পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। আমাদের প্রাদেশিক সেক্রেটারী কমরেড বিশ^নাথ মুখাজী সেখঅনে আপনাদেরকে নিয়ে যেতে পারবেন। বলেই রমেনদা বিশ্বনাথ মুখার্জীর সাথে টেলিফোনে কথা বললেন। তিনি তখন নকশালদের টার্গেট হওয়াতে সচরাচর বাইরে বেরোন না। বললেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আগামীকাল সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে নিয়ে যাব। কাল বেলা ১০টার মধ্যে ওঁদেরকে আপনার বাসায় আসতে বলুন।
চলবে….
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)