চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

স্মিথ না থাকার অ্যাডভান্টেজ নিতে ইংল্যান্ডের বাজি আর্চার আগুন

যেটুকু অনিশ্চয়তা ছিল, সেটাও নেই। দলে ফিরছেন জেসন রয়। ২৯ বছরের ওপেনার মঙ্গলবার নেটে থ্রো ডাউনের সময় মাথায় চোট পেয়েছিলেন। পরীক্ষার পর দেখা গেছে, রয়ের চোটের মাত্রা তেমন আহামরি নয়। বরং যেটুকু চোট ছিল, তা কমেছে অনেকটাই। বৃহস্পতিবার লিডসের হেডিংলিতে রয়ের দলে ঢোকা নিয়ে কোনো চাপ নেই।

প্রশ্ন একটাই, রয় কি ওপেন করবেন লিডসে? নাসের হুসেইনের মতো সাবেক ক্রিকেটার তাকে মিডলঅর্ডারে চাইছেন। এমনকী, ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনাও তাই। কোচ ট্রেভর বেলিস বলেই দিয়েছেন, ‘আমরা সেরা ব্যাটসম্যানদের নিয়েই মাঠে নামব। তবে কোন পজিশনে কে ব্যাট করবে, তা এখনও আলোচনা হয়নি। এটুকু বলতে পারি, রয়ের মিডলঅর্ডারেই ব্যাট করা উচিত।’

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

জেসন রয় নয়, ইংল্যান্ডের ভাবনাতে এখন শুধুই অ্যাশেজে সমতা ফেরানো। এজবাস্টনে হারের পর প্রবল সমালোচনায় পড়তে হয়েছে জো রুটদের। লর্ডসে ব্যাপকভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছে। লিডসে অস্ট্রেলিয়াকে চুরমার করতে চাইছেন জফরা আর্চাররা।

চোটের কারণে তৃতীয় টেস্টে নেই স্টিভেন স্মিথ। সিরিজে সবচেয়ে সফল অজি ব্যাটসম্যানের না থাকার অ্যাডভান্টেজ নেয়ার ছক সাজাচ্ছেন রুটরা। আর্চারেই যত ভরসা তাদের। লর্ডসে অভিষেক টেস্টে আগুন ঝরিয়েছেন। লিডসে একই ছন্দে বল করতে পারলে বাকিদের কাজটা সহজ হয়ে যাবে। তিনিই ইংল্যান্ডের আসল বাজি।

স্মিথের না থাকা যে কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দেবে অজিদের, তা মেনে নিয়েছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। সফরকারী কোচের কথায়, ‘আমরা সেরা ব্যাটসম্যানদের নিয়ে নামতে পারছি না। সেরা ক্রিকেটার যদি দলে না থাকে, তার প্রভাব তো পড়বেই।’

একে স্মিথ নেই, তার উপর রানের মধ্যে নেই ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক টিম পেইন। যা অনেকটাই চাপে রেখেছে অজিদের। পেইন অবশ্য স্বীকারও করে নিয়েছেন সব। হেডিংলিতে অনুশীলনের পর পেইন বলেছেন, ‘রানে ফেরার ব্যাপারে ওয়ার্নার অত্যন্ত আশাবাদী। টেস্টে তার গড় পঞ্চাশের কাছাকাছি। সে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে রান করে আসছে এই ফরম্যাটটাতে। স্মিথ তৃতীয় টেস্টে দলে নেই। যে কারণে ওয়ার্নারের কাছে দল রান চাইছে। সে নিজেও দায়িত্ব নিতে ভালোবাসে।’

সঙ্গে পেইন জুড়েছেন, ‘ওয়ার্নারকে আমি যতটা চিনি, তাতে তাকে নিয়ে যখনই প্রশ্ন ওঠে, সে ঠিক নিজেকে প্রমাণ করে। আমি তার কাছ থেকে দারুণকিছু দেখার অপেক্ষায় আছি।’

ওয়ার্নারের দুর্বলতা কাজে লাগাচ্ছেন ইংলিশ বোলাররা। এমনই মনে হচ্ছে কেভিন পিটারসেনের, ‘কারও দুর্বলতা যখন বিপক্ষ কাজে লাগাতে শুরু করে, তখন তাকে কিছু বদল আনতেই হয়। ওয়ার্নার স্টাম্প কিন্তু দেখা যাচ্ছে। সে বুঝতে পারছে না তার অফস্টাম্পটা কোথায়! যে কারণে খেলতে সমস্যা হচ্ছে।’

স্মিথের না থাকা, ফর্ম হারানো ওয়ার্নারের মাঝে এখন ভরসার মুখ হয়ে উঠেছেন মার্নাস লেবুশেন। স্লিপেও তিনি ভালো ফিল্ডিং করতে পারেন। তবে সব ছাপিয়ে একটাই নাম ঘুরছে অজি শিবিরে- আর্চার। লিডসে ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত পেসারকে সামলাতে না পারলে ইংল্যান্ড যে সিরিজে ফিরে আসবে, তা ভালোই বুঝতে পারছে অস্ট্রেলিয়া।