বহু প্রতীক্ষিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আজ (২২ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম দফায় কক্সবাজারের ঘুনধুম সীমান্ত দিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে।
প্রত্যাবাসনের জন্য চূড়ান্ত করা সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে টেকনাফের শালবাগান ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে বাসে করে ঘুনধুম সীমান্তে নেয়া হবে। ঘুনধুম থেকে ট্রলারে নাফ নদী পার হয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে ঘিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নেয়া শেষ হয় বুধবার। দু’দিন ধরে এ সাক্ষাতকার নেয়া হয়। কক্সবাজারের টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়।
ইউএনএইচসিআর এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধিরা ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নেন। ক্যাম্প ইনচার্জের অফিসের পাশে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ঘর তৈরি করে, যেখানে ৮টি বুথ করে পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার ৫৪০ জনের সাক্ষাতকার নেয়া হয়।
ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা সাক্ষাতকারে বলেছেন, তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়াসহ অন্যান্য দাবিদাওয়া মেনে নিলেই কেবল ফিরে যাবেন তারা।