লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন আগেরদিনই। তাতে সফল স্টিভেন স্মিথ। তিনি ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি পেলেন ঠিকই, তার দেখানো পথটা অনুসরণ করতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার বাকি ব্যাটসম্যানরা। বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখা অজিরা তাতে আটকে গেল ৩৩৮ রানে।
মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে দলীয় ১৬৬ রানে দ্বিতীয় দিনের শুরু করেছিলেন স্মিথ। অজিদের পুরো ইনিংসে হাইলাইটস হয়ে থাকল দুজনের ব্যাটিং। লাবুশেন পারেননি, তবে সেঞ্চুরি তুলে স্মিথ থেমেছেন ১৩১ রান করে, রানআউটে কাটা পড়েছেন।
আগেরদিন লাবুশেনের সঙ্গে স্মিথের জুটির শুরু হয়েছিল ১০৬ রানের মাথায়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে তুলেছেন ঠিক ১০০ রান।
৬৭ রানে দিন শুরু করা লাবুশেন পাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির সুবাস। নব্বইয়ের কোটা পেরোতেই কাঁধে ভর করে ‘নার্ভাসনেস’, ১১ চারে ১৯৬ বলের ধৈর্যশীল ইনিংসটা তাতে থেমে যায় ৯১ রানে, রবীন্দ্র জাদেজার বলে আজিঙ্কা রাহানেকে ক্যাচ দিয়ে।
লাবুশেন ফিরলে পেস-স্পিন মেলবন্ধনে অজিদের ব্যাটিংয়ের লেজ টেনে আনেন জাসপ্রীত বুমরাহ ও জাদেজা। যদিও স্মিথ যতক্ষণ ছিলেন, চাপটা ছিল ভারতের দিকেই।
আগের দুটেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১০ রান পাওয়া স্মিথ রান পেতে কতটা মরিয়া ছিলেন বোঝা গেল সেঞ্চুরি উদযাপনের পর্ব দেখে। ব্যাটিংয়ে যতক্ষণ ছিলেন, এমন কোনো সুযোগই দেননি যা কাজে লাগাতে পারেন প্রতিপক্ষ বোলাররা। ২০১ বলের মাথায় তিন রান তুলে হুঙ্কার দিয়ে সেরেছেন সেঞ্চুরি উল্লাস। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দর্শকরা বুঝলেন ১৬ মাসের সেঞ্চুরি খরায় কতটা অভুক্ত ছিলেন আইসিসির সদ্যসাবেক সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান।
বাকিরা একটু সঙ্গ দিতে পারলে ইনিংস হয়তো আরও বড় করার চেষ্টা করতেন স্মিথ। ম্যাথু ওয়েড ১৩ রানে আউট হবার পর, ক্যামেরন গ্রিন ও টিম পেইনকে বুমরাহ ফিরিয়ে দিলে নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভারতের হাতে।
টেল এন্ডারদের নিয়ে ৮৩ রান তোলার পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হন স্মিথ, ফেরার সময় তার নামের পাশে ১৬ চারে ২২৬ বলে ১৩১ রানের ঝলমলে ইনিংস।
অজিদের শেষদিকের চারজন শিকার জাদেজার। স্মিথ রানআউট হয়েছেন তারই মাধ্যমে। বুমরাহ ও অভিষিক্ত নবদ্বীপ সাইনি পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ভারতের শুরু হয়েছে ইতিবাচক। দলে ফেরা রোহিত শর্মা ২৬ রানে ফেরার আগে শুভমন গিলের সঙ্গে ৭০ রান তুলে গেছেন। গিল ফিরেছেন নিজের ফিফটির পর, ঠিক ৫০ করে। ৯ রানে চেতেশ্বর পূজারা ও অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে ৫ রানে শুরু করবেন তৃতীয় দিন।