চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

স্মার্টকার্ড বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিচয় পত্রের মাধ্যমে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করা সহজ হবে। 

উদ্বোধন ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্র ফিরিয়ে দিয়ে নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন, এর মাধ্যমে নতুন পরিচয়পত্র প্রদান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার রক্ষার প্রমাণ হলো এই স্মার্টকার্ডের উদ্বোধন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিসেস’ – আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ হাতে নেয়। এই প্রকল্পের অধীনে নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের তথ্য সম্বলিত ডাটাবেস বা তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছে।

বর্তমানে সেই ডাটাবেসে ১০ কোটিরও বেশি নাগরিকের তথ্য সংরক্ষিত আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নাগরিকের নির্ভরযোগ্য তথ্যভাণ্ডার হিসেবে এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নির্ভরযোগ্যতা লাভ করেছে বলে তিনি জানান।

প্রথম স্মার্টকার্ড গ্রহণের পর বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের সদস্যদের হাতে প্রধানমন্ত্রী তাদের স্মার্টকার্ড একে একে তুলে দেন। স্মার্টকার্ড প্রদান শুরু হয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দিয়ে। তিনি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

ক্রিকেট দলের সদস্যদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।

এর আগে স্মার্ট পরিচয়পত্রকে জাতীয় আমানত উল্লেখ করে একে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রক্ষা করতে নির্বাচন কমিশনের সবাইকে অনুরোধ জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। পাশাপাশি তথ্য ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিও জাতীয় তথ্যভাণ্ডারের তথ্য সতর্কতা ও যত্নের সঙ্গে ব্যবহারের অনুরোধ জানান তিনি, যেন জনগণের তথ্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন না হয়। এজন্য সব ধরণের কারিগরী সহায়তা প্রদানে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।

সবার সুবিধার জন্য তাৎক্ষণিক সাহায্যার্থে ১০৫ হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন সিইসি। ৯ কোটি স্মার্টকার্ড তৈরি ও বিতরণ সময়সাপেক্ষ, প্রযুক্তিনির্ভর বিশাল কর্মযজ্ঞ। এ প্রক্রিয়ায় ধৈর্য ধরে সহযোগিতা করার জন্য তিনি আহ্বান জানান। 

আন্তর্জাতিক মানের উন্নত কার্ড যেন সরকারি সংস্থার মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে দেশেই তৈরি করা সম্ভব হয় সেই চেষ্টা চলছে বলে জানান সিইসি। সেদিন দ্রুত কার্ড তৈরি করে জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।