চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে গণহারে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনায় ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই উদ্যোগে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নির্ধারিত ভ্যাকসিন কেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের এই পদক্ষেপ খুবই ইতিবাচক। বাংলাদেশে এই বয়সী জনগণের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী এবং বাড়িতে ও বাইরে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি। বাইরে ঘোরাঘুরি ও ভ্যাকসিন না দেবার কারণে তারা বেশিরভাগই আক্রান্ত হচ্ছে। বয়সের কারণে তারা নিজেরা দ্রুত সেরে উঠলেও তাদের দ্বারা বাড়ির অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কিছু গবেষণায়ও বিষয়টি উঠে এসেছে।

এছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রসূতি ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে কোন ভ্যাকসিন বেশি কার্যকর, সে বিষয়েও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিন্তাভাবনা করছে। তাদের জন্য কোন ভ্যাকসিন বেশি কার্যকর তা ভেবে দ্রুত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানানো হয়েছে।

দীর্ঘদিন হলো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পদক্ষেপ হিসেবে কার্যকর হবে।

সরকারের ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং দেশজুড়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের গতি বর্তমানে বেশ সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে। গতকালও দেশে ৩ লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। আর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩৫ জন। ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেবার সিদ্ধান্ত নেবার ফলে খুব দ্রুতই সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দেশে ভ্যাসকিন দেবার ক্ষেত্রে নানারকম গুজব ও কূশিক্ষা প্রচলিত ছিল, তা ধীরে ধীরে দূর হচ্ছে। এতে করে দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ইতিবাচক ধারায় আছে বলে আমরা মনে করি। সামনের দিনগুলোতে এই ধারা বজায় থাকলে উন্নত দেশগুলোর মতো করোনা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।