স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির অন্যতম সদস্য শান্তা রঙ্গস্বামীর পদত্যাগে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। প্রশ্ন উঠেছে রবি শাস্ত্রীর ভারতীয় কোচের পদে নিয়োগ নিয়েও। শুধু শাস্ত্রী নয়, নারী ক্রিকেট দলের কোচ উরকেরি রামনকেও নিয়োগ করেছে কপিল দেবদের সিএসসি। সেক্ষেত্রে রামনকে নিয়েও প্রশ্ন আছে। সব মিলিয়ে উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট।
স্বার্থের সংঘাতে নাম আছে শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো ক্রিকেটারদেরও।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘যদি সিএসির সদস্যদেরই স্বার্থের সংঘাত থাকে, তাহলে তারা যে কোচ নিয়োগ করেছে, তারই বা বৈধতা কোথায়? সেক্ষেত্রে কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার নতুন করে করতে হবে। কারণ বিসিসিআইর নতুন গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট করে লেখা আছে সিএসি সদস্যরাই জাতীয় কোচ নিয়োগ করবে।’
বিতর্কের সূত্রপাত বিসিসিআই’র এথিক্স অফিসারের চিঠিকে কেন্দ্র করে। সিএসির চেয়ারম্যান কপিল দেব ও দুই সদস্য অংশুমান গায়কোয়াড় আর শান্তা রঙ্গস্বামীর স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে চিঠি পাঠান তিনি। তিন সাবেক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ আনেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার এক আজীবন সদস্য।
১০ অক্টোবরের মধ্যে স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে থাকা কমিটি সদস্যদের জবাবদিহি করতে হবে এথিক্স অফিসারের কাছে। কিন্তু কমিটির অন্যতম সদস্য ও ভারতের নারী দলের সাবেক অধিনায়ক শান্তা রঙ্গস্বামী কোনো জটিলতাতেই যাননি। তিনি পদত্যাগ করেছেন।
এক সাক্ষাতকারে রঙ্গস্বামী বলেছেন, ‘গত এক-দু’বছরে মোটে একটা সভা হয় সিএসির। কিসের সংঘাত, সেটা আমি ঠিক বুঝলামও না। তবে আমার অন্য অনেক কাজ আছে। তাই আমি সরে দাঁড়াচ্ছি।’
সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, ‘এভাবে স্বার্থের সংঘাতের কথা মাথায় রেখে এখনকার পরিস্থিতিতে সাবেক ক্রিকেটার পাওয়াই বেশ সমস্যার ব্যাপার হবে।’
এদিকে সিএসি সদস্যদের নিয়োগ করেছিল কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স। তারা কীভাবে স্বার্থের সংঘাত থাকা সাবেক ক্রিকেটারদের বাছাই করলেন?
সিওএ প্রধান বিনোদ রাই বলেছেন, তারা কপিল দেব, গায়কোয়াড় ও রঙ্গস্বামীর মধ্যে কোনো স্বার্থের সংঘাত দেখেননি। যদিও তিনি এটাও বলেছেন, স্বার্থের সংঘাতের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার এথিক্স অফিসারেরই।
শেষ পর্যন্ত যাই হোক, কপিল দেবদের স্বার্থের সংঘাতের কোপে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে গেছে কোচ শাস্ত্রীর ভবিষ্যতও।