চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

স্বামীসহ অস্ট্রেলিয়ায় পোশাকের মডেল ঈশানা খান

লাক্সতারকা ঈশানা খান বিয়ের পর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হলেও দেশটির সিডনি শহরের নামকরা বুটিক্স হাউজ ভিলোনি’র মডেল হয়েছেন। তবে তিনি একা নন, মডেল হয়েছেন তার স্বামী শারিফ চৌধুরীও।

অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন বাংলাদেশি ফটোগ্রাফার রিজ রেহমানের মাধ্যমে ঈশানা ও স্বামী এ কাজের সুযোগ পেলেন।

গেল শনিবার বড় পরিসরে সিডনির এক স্টুডিওতে শুট সম্পন্ন হয়েছে। ফটোশুটে পোশাক ছিল স্পেশাল গাউন যা বড়বড় সেলেব্রেটিরা রেডকার্পেট শোতে পরে থাকেন।

সিডনি থেকে মুঠোফোনে চ্যানেল আই অনলাইনকে ঈশানা বলেন, রিজ রেহমানের মাধ্যমে কাজের সুযোগ পেয়েছি। তিনি আমার স্বামীর পরিচিত এবং বড়বড় ইভেন্টে কাজ করে থাকেন। শাহরুখ খান, সালমান খান, কারিনা কাপুর, সোনম কাপুরসহ বড় সেলেব্রেটিদের নিয়ে কাজ করেছেন।

ঈশানা আরও বলেন, প্রায় দুমাস আগে থেকে কাজের ব্যাপারে কথাবার্তা হয়। ফ্যাশন হাউজ কর্তৃপক্ষ আমার প্রোফাইল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন কাজ দেখে পছন্দ করায় বুটিক্স হাউজ ভিলোনি’র জন্য শুট করি।

ঈশানা জানান, একা ও স্বামী শারিফ চৌধুরীকে নিয়েও কাপল শুট করেছেন। তিনি বলেন, এটা রেডকার্পেটের পোশাক। সেলিব্রেটিরা বড় বড় অনুষ্ঠানে যোগ দেন রেডকার্পেটে হেঁটে। সেখানে যোগ দেয়ার জন্য স্পেশাল পোশাক যা বাংলাদেশি টাকায় ব্যয়বহুল।

ঈশানা বলেন, গত রোজায় সিডনিতে আরও একটি ফ্যাশন হাউজের কাজ করেছি। কিন্তু সেটি বাংলাদেশের ফ্যাশন হাউজের। বাঙালি কালচার নির্ভর কাজ। ওই কাজটি এখনো প্রচারে আসেনি। তার আগেই অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় ফ্যাশন হাউজের মডেল হলাম। এ কাজটি শুধু অনলাইনের জন্য ব্যবহার করা হবে নাকি বিলবোর্ড তৈরিতে ব্যবহৃত হবে সেটি জানতে পারিনি।

যোগ করে তিনি বলেন, এবারের শুটের জন্য বেশ প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। আমি ও শারিফ (স্বামী) গ্রুমিং করেছি। একসপ্তাহ ধরে লিকুইড ডায়েট করেছি। ওজন কমাতে হয়েছে।

ঈশানা বলেন, বাংলাদেশে থেকে অনেক ফটোশুট করেছি। কিন্তু সিডনিতে যে কাজটি করলাম এ ধরনের শুট জীবনেও করিনি। এটা আমার জন্য একেবারেই নতুন এক অভিজ্ঞতা হলো।

২০০৯ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন ঈশানা খান। এরপর বিজ্ঞাপন, নাটক, টেলিছবিতে কাজ করে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। দুই বছর প্রেমের পর গেল বছরের ১০ জুলাই পারিবারিকভাবে শারিফ চৌধুরীকে বিয়ে করেন ঈশানা খান। কদিন পরেই স্বামীর সঙ্গে উড়াল দেন সিডনিতে।

ঈশানা বলেন, করোনার প্রকোপ দেখা না দিলে দেশে বেড়াতে আসতাম। কিন্তু এখন যে অবস্থা আসার উপায় নেই। অস্ট্রেলিয়া করোনা ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরছে। এখানে অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে সরকারি নির্দেশ এ বছরটা যেন সবাই দেশেই থাকে। তাই চাইলেও খুব শিগগির দেশে ফেরা হচ্ছে না।