বছরের পর বছর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত স্বামীকে হত্যা করে তার কাটা মাথা নিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ভারতের আসামের এক নারী।
রাজ্যের লক্ষ্মীপুর জেলার মাজগাঁওয়ে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, অভিযুক্ত নারী ৪৮ বছর বয়সী গণেশ্বরী বর্কতকী মকঙ্গলবার রাতে একটি প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে স্থানীয় ধলপুর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে হাজির হন। ওই ব্যাগে ছিল তার স্বামী মুধিরামের (৫৫) ছিন্ন মাথা।
পুলিশের কাছে ব্যাগটি দিয়ে গণেশ্বরী স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘সে আমাকে বহু বছর ধরে মারধর করে আসছে। এমনকি অনেকবার সে আমাকে কুড়াল দিয়ে আঘাত করেও জখম করেছে। অনেক আগেই আমি তাকে ছেড়ে দেবার কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু সন্তানদের কথা ভেবে আর পারিনি।’
‘কিন্তু যখন সে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেল, আমার কাছে এটা করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। নইলে সে-ই আমাকে খুন করে ফেলত,’ বলেন তিনি।
দুই ছেলে আর তিন মেয়ের মা গণেশ্বরীর স্বীকারোক্তি অনুসারে, তিনি একটি চাপাতি নিয়ে স্বামীর ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। এরপর আত্মসমর্পণের জন্য প্লাস্টিক ব্যাগে স্বামীর কাটা মাথা নিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব হেঁটে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে হাজির হন তিনি।
ধলপুর পুলিশ ফাঁড়ির এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার রাতে ওই নারী স্বামীর কাটা মাথাসহ এসে নিজ থেকেই ধরা দেন। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি নিজেই স্বীকার করেন, মাতাল স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে রাগের মাথায় তাকে হত্যা করেছেন গণেশ্বরী।
এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। বুধবার অভিযুক্ত নারীকে বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় এক আদালত।