রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ চালু হওয়ার পর রাঙ্গামাটি শহরের জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সাপছড়ির শালবনে বুধবার বিকেলে সংযোগ সড়ক চালু হওয়ার পর থেকে হালকা যানবাহনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি পৌরসভা থেকে ৯টি ওর্য়াডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে দেয়া হচ্ছে ১০ কেজি করে চাল।এছাড়া শহরের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি খাবার সরবরাহ করছে।প্রত্যেক কেন্দ্রে রয়েছে জরুরি মেডিকেল টিম।
গত সপ্তাহে পার্বত্য অঞ্চলের ৫টি জেলায় পাহাড় ধসের ঘটনায় বহ হতাহাতের ঘটনা ঘটে।সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় রাঙামাটিতে।রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে যায় ও ভেঙে যায়।যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বন্ধ থাকা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় মারাত্মক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে রাঙামাটিবাসী।
পরবর্তীতে সড়ক যোগাযোগ চালু করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ শুরু করে।পুলিশ, বিভাগীয় প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সহযোগিতা করে।