নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের উস্কানির দেয়ার অভিযোগে ৩ জন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ।
সাইবার ক্রাইমের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা স্বাভাবিক আন্দোলনকে ফেসবুকের মাধ্যমে উস্কানি দিয়ে সহিংসতায় নিতে যেতে ভূমিকা রেখেছে।
বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন তৌহিদুল ইসলাম তুষার (২৪), মো: ওয়ালিউল্লাহ (২৮) ও মো: ইহসান উদ্দিন ইফাজ (১৮)।
সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, উস্কানির অভিযোগে গত ৫ আগস্ট রমনা থানায় আইসিটি অ্যাক্টে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ, মেমরি চিপসহ ফেসবুক আই ডি ও গ্রুপ সমুহ জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তে জানা গেছে, আসামিরা ফেসবুক লাইভ ও পোস্টসহ নানান কন্টেন্ট পোস্ট ও শেয়ার করে স্বাভাবিক আন্দোলনকে সহিংস করতে ভুমিকা রাখে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এদের আসল উদ্দেশ্য জানা যাবে।’
আসামিদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গুজব রটানোর অভিযোগে মাহবুবুর রহমান আরমান(৩০), আলমগীর হোসেইন(২৭) ও সাইদুল ইসলাম’কে(৩১) গ্রেফতার করা হয়।
তাদের বিষয়ে এডিসি বলেন, ইতোমধ্যে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের ফেসবুক লিংকসমুহ যাচাই বাছাই করে অনেকের যোগসূত্রও পাওয়া গেছে। অচিরেই ঘাপটি মেরে থাকা ভিন্নমতাবলম্বীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরে সরকারকে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে তারা ঘরে ফিরে যায়।
গত শনিবার ও রোববার ধানমন্ডিতে একটি গুজবের কারণে শিক্ষার্থীরা সহিংস হয়ে ওঠে।