ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত অধ্যাপককে সম্মাননা ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- শহীদ অধ্যাপক ড. গোবিন্দচন্দ্র দব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, আবু নাসর ম. মুনীরউজ্জামান, আবু নয়ীম মাহাম্মদ মুনীর চধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ আনায়ার পাশা এবং এস এম এ রাশিদুল হাসান। সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কেউ বেঁচে না থাকায় পরিবারের সদস্যদের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই সম্মাননা প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়শনর সভাপতি এ কে আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার। শুভেছা বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার।
তৌফিক ই-ইলাহী বলন, দেশকে এগিয়ে নিতে গেলে ঝুঁকি নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। তেমনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। হেনরি কিসিনজার দেখে যাক বাংলাদেশ কত এগিয়েছে। এই দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশের শিল্প, প্রযুক্তি, সাহিত্য ও ঐতিহ্য কতটা অগ্রগতি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান নিয়ে গবেষণা করত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী শিক্ষকরা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারা বিভিন্ন আন্দোলনের যৌক্তিকতা ছাত্রদের সামনে তুলে ধরে আন্দোলন বেগবান করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহায়তা করার জন্য তারা পাকিস্তানি শাসকদের রোষানলে পড়েন। এজন্য পাকিস্তানি শাসকরা দেশকে মেধাশূন্য করতে তাঁদেরকে হত্যা করে। তাঁদের অবদান জাতি কখনো ভুলবে না।