স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা নমিতা ঘোষ আর নেই। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপনের দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
খবরটি চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার ও সংগীতপরিচালক সুজেয় শ্যাম। তিনি জানান, নমিতা ঘোষের কিডনিজনিত সমস্যা ছিলো, শেষ দিকে অবস্থা গুরুতর ছিলো। শুক্রবার রাতে তিনি চলেই গেলেন।
সুজেয় শ্যাম বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় নমিতা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। আমার সাথে তার কাজ না হলেও নিয়মিত দেখা হতো। তিনি আপেল মাহমুদ, সমর দাসের সাথে বেশি কাজ করেছেন।
শনিবার সকালে নমিতা ঘোষের মৃত্যু নিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতি জুটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস জানান, কণ্ঠযোদ্ধা নমিতা ঘোষ শুক্রবার (২৬ মার্চ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে মারা গেছেন। তার কিডনি সহ আরো কিছু জটিল সমস্যার কথা শুনেছি, শেষ দিকে করোনাতেও আক্রান্ত হয়ে ছিলেন এই কণ্ঠযোদ্ধা।
কুদ্দুস জানান, দেশে করোনা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হওয়ায় জোটের পক্ষ থেকে নমিতা ঘোষকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন থাকছে না।
১৯৭১ সালে গানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যারা উজ্জীবিত করছেন, চাঙ্গা করেছেন, শত্রুর বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার শক্তি যুগিয়েছেন যেসব কন্ঠযোদ্ধাদের একজন ছিলেন নমিতা ঘোষ।
১৯৭১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে নিজ কণ্ঠ দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। ২৭ মার্চ রাতে দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তিনি চলে যান আগরতলা। পরিচিত হন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের সঙ্গে। সে সময় সেখানে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরির কাজ চলছিলো। সেটিতে অংশ নেন নমিতা ঘোষ। পরে সেটি ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হয়েছে। প্রামাণ্য চিত্রের শুটিং শেষে তিনি আগরতলা থেকে কলকাতায় যান। যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। সেখানে প্রথম নারী কণ্ঠশিল্পী নমিতা ঘোষ।