স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এই কম সময়ের শাসনামলেই প্রায় শূন্য অর্থনীতির দেশকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান বঙ্গবন্ধু।
শোকের মাস আগস্টে বঙ্গবন্ধুর শাসনামল নিয়ে বিশেষ ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন নিয়ে রিপোর্ট।
মুক্তিযুদ্ধকালীন যেসব মৌলিক আইনের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হতো, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি সেসব আইনকেই একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অস্থায়ী সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকার ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকেই হয় বাংলাদেশের সংবিধান। গণপরিষদ সদস্য ডক্টর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১১ এপ্রিল, ১৯৭২ সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ দেন যত দ্রুত সম্ভব সংবিধানের খসড়া চূড়ান্ত করতে।
বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক চার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সংবিধান লেখার পর এর ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য ডক্টর আনিসুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে গঠিত হয় একটি কমিটি। ১১টি ভাগে ১৫৩ টি অনুচ্ছেদের মাধ্যমে কিভাবে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে তার বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লিখিত রয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানে। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংসদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর সংবিধান থেকেও বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো। সেই ইতিহাস বিকৃতির সময় পেরিয়ে এখন সংবিধানেও সমুজ্জ্বল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: