প্রথমদিনের ৫ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে শুক্রবার নামা আফগানিস্তানকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশের স্পিনাররা। তাইজুল-সাকিবের ঘূর্ণির সামনে পড়ে বাকি পাঁচ উইকেটে আর ৭১ রান যোগ করতে পেরেছে সফরকারীরা। তাইজুল ৪টি, সাকিব-নাঈম নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
আফগানিস্তান: প্রথম ইনিংস-৩৪২/১০ (১১৭)
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সকাল সকাল তাইজুলের জোড়া সাফল্যের পর সাকিবের জ্বলে ওঠা, তাতে আফগানিস্তানের ইনিংস দ্রুতই গুটিয়ে দিতে পারায় ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ। সফরকারীরা যদিও সাড়ে তিনশর কাছে গেছে, তবে স্বাগতিকদের স্বস্তি আরও বড় রানের বোঝা কাঁধে চেপে রশিদ-জাহিরের স্পিন ফাঁদের সামনে নামতে হচ্ছে না!
মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলা আফগানরা নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়ে ফেলেছে এরমাঝেই। তাদের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, ৩১৪। চট্টগ্রামে সেটা পেরিয়ে ৩৪২ রানে থেমেছে সাদা পোশাকে নবীন দলটি।
প্রথমদিনে আফগানিস্তানের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এনেছেন রহমত শাহ। দ্বিতীয় দিনে শতকে নাম লেখানোর সুযোগ ছিল আসগর আফগানের। ৮৮ রানে ক্রিজে এসে ৯২-এ থাকার সাময় তাকে সাজঘরে পাঠিয়ে ইতিহাস গড়তে দেননি তাইজুল ইসলাম।
আসগর আফগান অবশ্য ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে যেয়ে উইকেট দিয়েছেন। তাইজুলকে স্লগ করতে যেয়ে উপরে ওঠা বল মুশফিকের গ্লাভসে জমতে দিয়েছেন। ৮৮ রানে দিন শুরু করে তাকে থামতে হয়েছে ৯২ রানে।
কয়েক ওভার পরই আবারও তাইজুলের আঘাত। দারুণ এক ঘূর্ণিতে এবার শিকার আফসার জাজাই (৪১)। লেগ-মিডলে পিচ করা বাঁহাতি স্পিনারের বল জাজাইকে ফাঁকি দেয় বিশাল টার্নে, পরে উপড়ে দেয় অফস্টাম্প।
আগেরদিন উইকেটের দেখা না পাওয়া সাকিব আল হাসান এদিন নিজের দ্বিতীয় ওভারেই দেখেছেন সাফল্যের মুখ। কাইস আহমেদকে (৯) সিলি পয়েন্টে মুমিনুলের দারুণ এক ক্যাচ বানিয়ে উইকেটের ঘরে নাম লিখিয়েছেন। পরে সৌম্যর ক্যাচ বানিয়েছেন ইয়ামিন আহমাদজিকে।
আফগান ইনিংসে শেষ আঘাত হানেন মেহেদী মিরাজ। ফেরার রশিদ খানকে। তার আগেই অবশ্য ৬১ বলে ঝড়ো ৫১টি মূল্যবান রান যোগ করে ফেলেছেন আফগান দলপতি।
আগের দিনের দুই উইকেটসহ স্পিনার তাইজুলের শিকার ৪ উইকেট। সাকিব ও নাঈম নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আর একটি গেছে মিরাজের ঝুলিতে।