গত সপ্তাহেই নিয়ন্ত্রণহীন ও গতানুগতিক শট খেলার কথা বলে ইংল্যান্ড তারকা বেন স্টোকসকে খেপিয়ে দিয়েছিলেন। লঙ্কানদের ঘরের মাঠে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করার পরও এমন সমালোচনা সহ্য করতে পারেননি ইংলিশ অলরাউন্ডার। দেরি না করে ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জেকারকে জবাব দেয়ার জন্য টুইটারকে বেছে নিয়েছিলেন ইংলিশ ‘ব্যাড বয়’।
স্টোকস বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও তোপের মুখে বর্তমান ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক মাঞ্জেকার। সোমবার বাংলাদেশের স্পিন নিয়ে কথা বলে নিজ দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন। রীতিমতো ট্রলের শিকার হয়েছেন সঞ্জয়।
স্পিনারদের ঘূর্ণিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০ উইকেট পড়েছে টাইগার স্পিনে। চট্টগ্রামের পর মিরপুর টেস্টেও ক্যারিবীয়দের ২০ উইকেট তুলে নেন স্বাগতিক স্পিনাররা। এই সিরিজেই প্রথমবারের মতো কোনো দলকে ইনিংস ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।
রেকর্ড ব্যবধানে দ্বিতীয় টেস্ট জেতার পর টাইগারদের স্পিনের প্রশংসা করার পাশাপাশি অন্য দলগুলোকে সতর্ক করে সঞ্জয় টুইটারে লেখেন, ‘তুমি যদি স্পিন ভালো খেলতে না পারো, তাহলে বাংলাদেশে না যাওয়াই ভালো। তারা এখন চারজন দুর্দান্ত স্পিনার নিয়ে খেলে। সেখানে পালানোর কোনো পথ নেই।’
এরআগে ভিন্ন এক টুইটে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাপক প্রশংসা করেন মাঞ্জেকার। লেখেন, ‘ভালো করেছ মেহেদী হাসান। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম উজ্জ্বল তারকাদের একজন। লোয়ার অর্ডারে সামর্থ্যবান ব্যাটসম্যান এবং একজন দুর্দান্ত ফিল্ডারও।’
বিশ্ব ক্রিকেটের বাকি দলগুলোকে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে সতর্কবার্তাতেই মূলত সঞ্জয়ের উপর খেপেছেন ভারতীয় সমর্থকরা।
স্টোকসের ব্যাপারে মন্তব্য করায় সমর্থকরা বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কার ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সকে খাটো করেছেন সঞ্জয়।
আর স্পিন না খেলতে পারলে বাংলাদেশে যেও না, সঞ্জয়ের এই মন্তব্যের পর এক সমর্থক পাল্টা টুইটে লিখেছেন, ‘তবে আমরা কেনো ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম? আমরা তো ভালোভাবে পেস-সুইং খেলতে পারি না।’
নিহার ভাটনগর নামের একজন লিখেছেন, ‘এই বিচারে ভারত থেকে বিরাট কোহলি ছাড়া এশিয়ার বাইরে আর কারোই যাওয়া উচিত নয়। আসলে বিশ্লেষক হিসেবে আপনি খুবই ভয়ঙ্কর।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনার বক্তব্যে আসলে কোনোই অর্থ বহন করে না।’
নিসাত প্যাটেল নামের একজন লিখেছেন, ‘এসব সফর না করলে দলগুলো উন্নতি করবে কীভাবে? গত ৩৫ বছর ধরে আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় জয় ছাড়া সফর করছে ভারত। তাদের কী এসব সফর বন্ধ করা উচিত?’
একজন বলেছেন, ‘স্যার আপনার এই যুক্তি অনুযায়ী সবারই দেশে খেলা উচিত এবং বাংলাদেশেরও কী ইংল্যান্ডে যাওয়া উচিত হবে না?’