২০১৩ সালের আইনে কার্যকর করা স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ কেন অবৈধ নয় জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে ২০১৩ সালের আইন দিয়ে ওই অধ্যাদেশসহ অর্থবিল অধ্যাদেশ, গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ, আয়কর অধ্যাদেশসহ ৮১টি অধ্যাদেশ রাখার সুযোগ নেই। তবে অধ্যাদেশগুলো থাকবে না বাতিল হয়ে যাবে সে সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতের।
আইনজীবী জানান, ২০১১ সালে আপিল বিভাগ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জারী করা সকল অধ্যাদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন। যদিও ওই সময়কার অধ্যাদেশগুলোকে অধ্যাদেশ কার্যকরণ বিশেষ বিধান আইন ২০১৩ হিসেবে প্রণয়ন করে কার্যকর করা হয়।
এ অবস্থায় ১৯৮২ সালের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ অনুসারে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ৫ ভাইয়ের সম্পত্তি দখলের নোটিশ দেয় সরকার। ওই নোটিশ ও অধ্যাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ৫ ভাই। শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রিটকারীর আইনজীবী ফয়েজ আহমেদ বলেন,‘হাইকোর্ট ডিভিশন জানতে চেয়েছেন কেনো ২০১৩ সালের আইনে কার্যকর করা স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ বাতিল করা হবে না এবং এই মর্মে ৪ সপ্তাহের একটি রুল জারি করেছেন।’
যে আইন দিয়ে ৮১ অধ্যাদেশকে কার্যকর করা হয়েছে তার ভবিষ্যত কী হবে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন আইনজীবী।
আইনজীবী ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জারী করা সকল অধ্যাদেশ অবৈধ। আপিল বিভাগ যে আইন বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন সেটাকে কার্যকর কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করি না। সরকার চাইলে নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারে।’
রুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ বিষয়ক সচিব, আইন সচিবসহ ১১ বিবাদীকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।