স্থানীয় পর্যায়ে প্রকল্প বরাদ্দের অর্ধেক টাকা ঠিকাদারদের ঘুষে খরচ করতে হয় বলে কাজের মান ঠিক থাকে না। সরকারি ক্রয় নিয়ে নাগরিক কমিটির সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রীও স্বীকার করেছেন, তার কাছে যত অভিযোগ আসে তার অর্ধেকই স্থানীয় প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে।
সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের ক্রয় প্রক্রিয়ায় জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে সরকারি বেসরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রীর এ বৈঠক ১০ম বারের মতো।
শুরুতেই উত্তরবঙ্গের তিনটি উপজেলায় স্থানীয় প্রকল্প নিয়ে পরিচালিত সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ভনেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এ হাসান বলেন, মূল ইনভেস্টমেন্টের ৩০ শতাংশ এমন ইনফর্মাল পে করেন অনেকেই। সেখানে মনিটরিংটা খুব শক্ত না।
আলোচনায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিরা বলেন, নিজেদের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্প প্রণয়নেও বিদেশী ভাষা ব্যবহৃত হয়। ফলে যাদের জন্য প্রকল্প তারা কিছুই বুঝতে পারে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর দাবির সাথে সরকারও একমত। বলেন, আমিও অসংখ্য টেলিফোন পাই। তার মধ্যে অন্তত এক তৃতীয়াংশ এলাকার কাজ সমন্ধে অর্থাৎ কাজ হচ্ছে না সে নিয়ে।’
“আরও অভিযোগ আসে কাজের মান নিয়ে। কাজ সম্পন্ন করতে খারাপ ইট ব্যবহার করে। তখন আমি বলি ইউএনও সাহেবকে নিয়ে আমাকে ফোন করো, তাতেও কাজ না হলে বলি কাজই বন্ধ করে দাও।”
মন্ত্রী জানান, এখন থেকে গুগল আর্থের মাধ্যমেও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হবে।