কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ থানার বাদুয়ারায় নিজ গ্রামে অবস্থানকালীন সময়ে স্থানীয় মসজিদের ইমামের ইমামতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল জঙ্গি মেজবা। পরে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা নামাজ আদায় করা শুরু করে।
‘জঙ্গি’ মেজবার পরিবারের বরাত দিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান।
মেজবার পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের দিকে মেজবার মধ্যে আমূল পরিবর্তন দেখা দেয়। গ্রামের স্থানীয় মসজিদের ইমামের ইমামতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং পরে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা নামাজ পড়া শুরু করে।
গত বছরের ২০ অক্টোবর জঙ্গি মেজবা ২ যুবক নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। পরিবারকে জানান, ওই যুবকরা তার মায়ের পেটের ভাইয়ের চেয়েও আপন। গত বছরের ১০ নভেম্বর থেকে মেজবা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার আগে স্ত্রী ও মাকে ফোন করে ক্ষমা চায় এবং জান্নাতে দেখা হবে বলে বিদায় নেয়। তখন তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা জেনেও আল্লাহর রাস্তায় চলে যাচ্ছে বলে জানায় মেজবা।
পরে পরিবার গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে।
র্যাব জানায় নিখোঁজ হওয়ার আগে জঙ্গি মেজবা দক্ষিণ সায়েদাবাদ রবিন মিয়ার মেসে ছিল। ওই মেসের ম্যানেজার রিপন জানান, তাবলিগের কথা বলে নিরুদ্দেশ থাকত মেজবা। গত বছরের ৭ নভেম্বর তাবলিগে যাচ্ছে বলে সর্বশেষ গেলেও আর ফিরে আসেনি।
পরে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি মেজবার ভাই ও বাবা ঢাকায় এসে মেস থেকে তার সব জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
র্যাব-৩ এর সিও বলেন, নিহত অন্যান্য জঙ্গিদের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে মেজবার সঙ্গে গ্রামে যাওয়া ওই দুই যুবক ও নাখালপাড়ায় নিহত দুই যুবক এক নয় বলে মেজবার পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন। তাই আমরা ধারণা করছি তার সঙ্গে আরো জঙ্গিদের কানেকশন ছিল। তাদের সন্ধানে কাজ করছে র্যাব।