কুমিল্লায় রত্না ওরফে রিয়া নামে (২১) এক গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যার পর তার মরদেহ রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন স্বামী নাজমুল হাসান। এ সময় স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর বিমানবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক নাজমুল হাসান জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মদিনগর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নাজমুল হাসান কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় মুদি দোকানের ব্যবসা করে করতেন। ওই দোকানে দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের রত্নার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায় দেড় বছর আগে উভয়ের বিয়ে হয়। এটা নাজমুলের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় তারা একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক নাজমুল হাসান জানান, রত্না বিভিন্ন সময় ব্ল্যাকমেইল করে তার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে চলেও যেত সে। শনিবারও টাকা চেয়েছিল নাজমুলের কাছে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে নাজমাকে গলাটিপে হত্যা করে নাজমুল। পরে রাত ১০ টার দিকে রত্নার লাশ তোসকে পেঁচিয়ে অটোরিকশায় বিমানবন্দর এলাকায় ফেলে দেওয়ার সময় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজিজুল হক জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিমানবন্দর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নাজমুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। রোববার সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।