টাঙ্গাইলে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গাজীপুর শিল্প পুলিশের সাবেক সদস্য আব্দুল আলীম সুমন ও তার বন্ধু শামীম আল মামুনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন। সোমবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলা রায় দেন তিনি।
নিহত ওই নারী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফলিয়ার ঘোনা এলাকার সুলতান আহম্মদের মেয়ে সুমি আক্তার।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হিন্নাইপাড়া এলাকার আবু হানিফের ছেলে আ: আলীম সুমন ও তার বন্ধু একই এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে শামীম আল মামুন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো: আ: আলীম সুমন গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সদস্য ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর বরখাস্ত হন তিনি। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৬ মে কালিহাতী উপজেলার হিন্নাই পাড়া এলাকার আবু হানিয়ের ছেলে আ: আলীম সুমন সাথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফলিয়ার ঘোনা এলাকার সুলতান আহম্মদের মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সুমিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো সুমন। পরে সুমি তার বাবার বাড়ি চলে যায়। এর কিছুদিন পর সুমন মুঠোফোনযোগে সুমিকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল সুমি সুমনের সাথে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। এর পর থেকে সুমির মুঠোফোন বন্ধ থাকে।
সুমির মা তখন সুমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে সুমন যৌতুকের টাকা দাবি করলে সুমির মা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ সুমনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুমন জানায়, ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার বন্ধু শামীম আল মামুনের সহযোগিতায় তুরাগ থানার বেরি বাঁধের পাশে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পাশের ডোবায় ফেলে রেখেছে। পুলিশ তার স্বীকারোক্তি মতে ঘটনাস্থল থেকে সুমির মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৯ মে সুমির মা শিউলি বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা মামলা করে।