বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য স্ট্যাচু অব ইউনিটি দেখতে জলপথে পর্যটকদের আসা নিরাপদ করতে ভাস্কর্যের চারপাশের জলাধারে থাকা প্রায় ৩শ’ কুমিরকে গুজরাট সরকারের নির্দেশে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া শুরু করেছেন বন কর্মকর্তারা।
দর্শণার্থীদের জন্য সিপ্লেন সেবার ব্যবস্থা করতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সর্বাধিক তিন মিটার লম্বা কুমিরগুলোকে ধাতব খাঁচায় করে পিকআপ ট্রাকের মাধ্যমে গুজরাটের অন্যান্য এলাকায় সরানো হচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় এক ডজন কুমির জলাধারে সিপ্লেনের জেটি নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান, অর্থাৎ ৩ নম্বর ডাইক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বন কর্মকর্তা অনুরাধা সাহু জানান, এলাকায় পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কুমিরগুলো স্থানান্তরের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের এই ভাস্কর্যটি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজস্ব পরিকল্পনা-প্রসূত একটি প্রকল্প। ভাস্কর্যটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রতীক স্ট্যাচু অব লিবার্টির চেয়েও আকারে দ্বিগুণের বেশি।
৪০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে গত অক্টোবরে ১৮২ মিটার বা ৫৯৭ ফুট উঁচু মূর্তিটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়।
পর্যটকদের নিরাপত্তার কারণে বিপন্ন প্রজাতির কুমিরগুলোকে নিজ আবাসস্থল থেকে স্থানান্তরের এ প্রক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা জানিয়েছেন অনেকে।
বন্যপ্রাণী বিষয়ক সাময়িকী ‘স্যাংচুয়ারি এশিয়া’র সম্পাদক বিট্টু সেহগাল এর প্রতিবাদে এক টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘আমাদের সবার কি একসঙ্গে মাথা খারাপ হয়ে গেছে?’
অন্যদিকে গুজরাট বন্যপ্রাণী বোর্ডের সদস্য প্রিয়ব্রত গাধভি বলেছেন, যে কোনো বন্যপ্রাণীর স্থানান্তরের আগে সে বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে নেয়া উচিত।
স্ট্যাচু অব ইউনিটি গুজরাটের নর্মদা জেলার একটি দূরবর্তী প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। সবচেয়ে কাছের শহর ভাদোদরা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১শ’ কিলোমিটার। সেখানে যাওয়ার জন্য কোনো ট্রেন নেই। বেশিরভাগ পর্যটককেই ভাদোদরা থেকে চার-লেন হাইওয়ে দিয়ে বাসে করে ভাস্কর্যটি দেখতে যেতে হয়।