দুদিন আগে যে লিডসে ‘অমরত্ব’ পাওয়ার মতো এক ইনিংস খেলেছেন বেন স্টোকস, ১৯৮১ সালে সেই লিডসেই অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন বোথামও। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট।
সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে বোথাম বলেছেন, ‘ওই একটা ইনিংস এক রাতের মধ্যে আমার পুরো জীবনটাই বদলে দিয়েছিল। আমার মনে হয়, বেনের জীবনটাও ঠিক এভাবেই বদলে যাবে। এখন থেকে স্টোকসের আর কোনো ব্যক্তিগত জীবন থাকবে না! তাকে নিয়ে এখন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসটাই স্বাভাবিক। এটার সঙ্গে এবার স্টোকসকে অভ্যস্ত হতে হবে।’
স্টোকসকে ‘স্পেশাল ওয়ান’ বলে অভিহিত করেছেন বোথাম। তার কথায়, ‘স্টোকস বিশ্বজুড়ে সব টি-টুয়েন্টি লিগে খেলেছে। কিন্তু সে যখন টেস্ট খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করে এবং ভালো খেলে, তখন সেটা দারুণ ব্যাপার। টেস্ট ক্রিকেট এমনই একটা জায়গা যা আপনাকে অসাধারণ কিছু দেবে। স্টোকস সেটাই পেয়েছে।’
প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পরেও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে টেস্ট জিতেছে ইংল্যান্ড। বোথাম বলছেন, ‘আমাদের ইনিংস প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল। অন্য যেকোনো ফরম্যাটের ক্রিকেট হলে ম্যাচ হয়তো ওখানেই শেষ হয়ে যেত। টেস্ট কিন্তু তারপরেও সুযোগ দিয়েছে।’
প্রশংসায় বোথামের চেয়ে আরও একধাপ এগিয়ে ইংলিশ আরেক তারকা মঈন আলি। বেন স্টোকসকেই তার দেখা ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলেছেন।
মঈনের ব্যাখ্যা এমন, ‘আমার সঙ্গে খেলা সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। আমার দারুণ বন্ধুও। দেশের সেরা অলরাউন্ডারও। বিশ্বকাপ জেতানোর পর অ্যাশেজেও যেভাবে আমাদের টেস্ট জেতাল, এক কথায় স্টোকস এখন অনন্য। ইয়ান বোথাম, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফকে দেখেছি। আর একজন কিংবদন্তিকে দেখলাম। বেন স্টোকস।’