গ্যাবা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের কথা। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ১ উইকেটে ৩৭। ইনিংসের ১৩তম ওভার চলছে। ব্যাটিং প্রান্তে ডেভিড ওয়ার্নার। বোলিংয়ে বেন স্টোকস। ওভারটিতে টানা ৪টি নো বল করেন ইংলিশ পেসার। ফিল্ড আম্পায়ার যা চোখেই পড়ল না। অ্যাশেজ উত্তাপে যা বাড়তি আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্টোকসের ওই ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। মাঠ আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন। ওভারস্টেপ হওয়ার কারণে স্টোকসের সেই বলটি নো ডাকা হয়। বেঁচে যান ওয়ার্নার। এরপরই চোখ কপালে ওঠার মতো ঘটনা সামনে চলে আসে। আগের তিন বলও ওভারস্টেপই করেছিলেন সফরকারী পেসার।
ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড মহারণের প্রথম টেস্টে মাঠ আম্পায়ারে দায়িত্ব পালন করছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই আম্পায়ার পল রেইফেল ও রড টাকার। টিভি আম্পায়ার পল উইলসনও অস্ট্রেলিয়ার। এই ম্যাচের রিজার্ভ আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি ও ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনও অস্ট্রেলিয়ানই।
চলতি অ্যাশেজের সম্প্রচার সত্ত্ব পাওয়া চ্যানেল সেভেন নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে বিষয়টি নিয়ে। জানিয়েছে, নিজের প্রথম ৫ ওভারে ১৪টি ওভারস্টেপ নো বল করেছেন স্টোকস। যার মধ্যে মাঠ আম্পায়ারের নজরে পড়েছে মাত্র দুটি ঘটনা। যেগুলোতে নো বলের সংকেত দিয়েছেন আম্পায়াররা।
পরে অবশ্য ভিন্ন খবর জানা যাচ্ছে, বোলারের কোনো ডেলিভারি ওভারস্টেপ হয়েছে কি-না, সেটি যাচাইয়ের যে প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা, সেটির কার্যকারিতা ত্রুটিপূর্ণ ধরা পড়েছে। এমন অনভিপ্রেত ঘটনার সূত্রপাতও সেজন্যই।
তাতে অবশ্য পার পাচ্ছেন না মাঠ আম্পায়াররা। স্টোকসের একের পর এক বিশাল নো বলগুলো কীভাবে ফিল্ড আম্পায়ারের নজর এড়িয়ে গেল, সেই প্রশ্নে কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আইসিসির প্লেইং নীতি অনুযায়ী, তৃতীয় আম্পায়ার বোলারের সামনের পা অবতরণ করার সময়ে টেলিভিশন রিপ্লে পর্যালোচনা করবেন। টিভি আম্পায়ার নিয়মের ব্যতিক্রম কিছু দেখলে মাঠ আম্পায়ারকে পরামর্শ দেবেন। বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার অবিলম্বে নো-বলের সংকেত দেবেন।