বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে আর্ন্তজাতিক মানের অবকাঠামো থাকলেও হচ্ছে না জেলা পর্যায়েরও কোনো খেলা। এ নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই জেলার খেলোয়াড়, সংগঠক ও ক্রীড়ামোদীদের।
বরিশাল নগরীর বান্দ রোডে ২৯ একর ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে শহীদ আব্দুর রব সেরনিযাবাত স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয় ১৯৬৬ সালে। তখন স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ছিল মাত্র দুই হাজার। কিন্তু সেই সময়ের বরিশালের খেলোয়াড়দের দাপট ছিল দেশ জুড়ে।
বরিশাল বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাবেক সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান খসরু বলেন, বরিশাল ক্রিকেটে এবার ভালো করেছে। জাতীয় লীগে তারা ভালো করছে, চ্যাম্পিয় হয়েছে।
সদিচ্ছা থাকলে এখানে ক্রিকেটের বড় আসর বসানো সম্ভব বলে তিনি জানান।
ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলার আয়োজন এবং দর্শকের বাড়তি চাপ সামলাতে বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদ ২০০৬ সালে স্টেডিয়ামটিকে আর্ন্তজাতিক ভেন্যুতে উন্নয়নের কাজ শুরু করে। ফ্লাড লাইট, ৩৫ হাজার দর্শকের জন্য গ্যালারী, পাঁচতলা প্যাভেলিয়ন, মিডিয়া সেন্টার নির্মাণ করা হয়।
তারপর থেমে যায় সব কিছু। বড় ম্যাচ আয়োজনে বরিশালে আর্ন্তজাতিক মানের আবাসিক ব্যবস্থা না থাকা আর বিমান না চলার অজুহাত ছিলো এতদিন। সেই সংকট কেটে গেছে।
বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাবেক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুরুজ বলেন, আমাদের এখানে বড় ধরণের কোনো নেতৃত্ব নাই, যে আমাদের এই বিষয়টি তুলে ধরবে বা প্রেসার ক্রিয়েট করবে।
তিনি আরো বলেন, এগুলো পলিটিক্যাল বিষয়, তাই পলিটিক্যালভাবেই মোকাবেলা করতে হয়।
বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থা সম্পাদক নূরুল আলম নূরু বলেন, এটাকে আনার জন্য সেন্ট্রালে রাজনৈতিক লোক লাগবে। আর এটার পিছনে লেগে থাকতে হবে, তার দরদ থাকতে হবে।
দেশজুড়ে ক্রিকেট সাফল্যের শরিক হতে চায় বরিশাল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড স্টেডিয়ামের দায়িত্ব নিয়ে বরিশালে জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক ম্যাচ আয়োজন করবে এমন প্রত্যাশা বরিশালবাসীর।