অস্ট্রেলিয়ার পেস-তোপে টপঅর্ডার যেখানে কাঁপতে কাঁপতে সাজঘরে ফিরেছে, সেখানে মূলত স্পিনার হয়েও ইয়াসির শাহ দেখিয়েছেন ব্যাটটা কীভাবে করা দরকার ছিল। আটে নেমে পাকিস্তানি তারকা তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তাতে অবশ্য ফলোঅন এড়াতে পারেনি সফরকারীরা। অ্যাডিলেড টেস্টে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে আবারও বেরিয়ে গেছে তাদের ব্যাটিং কঙ্কাল।
৯৬ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তান অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা নিয়ে রোববার দিবা-রাত্রির টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে। মাঠে অজিদের চমকে দিয়ে পাল্টা লড়াই উপহার দেন বাবর আজম ও ইয়াসির। দুজনে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। পরে মোহাম্মদ আব্বাসকে নিয়ে ইয়াসির ৮৭ রান যোগ করেন।
তাতেও ফলোঅন এড়াতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ৩০২ রানে অলআউট হয়ে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। বৃষ্টিবাধায় ১৫ ওভার আগেই দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৩৯ রানে ৩ উইকেট। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই এখনো ২৪৮ রান চাই তাদের। আর ম্যাচ বাঁচাতে লড়তে হবে আরও দুদিন!
দিনের শুরুতে যখন ব্যাটে নেমেছিলেন বাবর, নামের পাশে ৪৩ আর ইয়াসিরের মাত্র ৪ রান। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে নিজের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে স্টার্কের পঞ্চম শিকারে পরিণত হন বাবর। ১৩২ বলে ১১ চারে ৯৭ করে উইকেটের পেছনে টিম পেইনের গ্লাভসে ধরা পড়েন।
ইনিংসে নিজের ষষ্ঠ শিকার হিসেবে পরের বলে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরের পথে পাঠিয়ে দেন স্টার্ক।
তখন অন্যপ্রান্তে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইয়াসির। বল হাতে ১৯৭ রান দেয়ার লজ্জা ঢেকে দেন ব্যাটিংয়ে। দশম উইকেট জুটিতে আব্বাসকে নিয়ে লড়াই চালান। তখন ফলোঅন এড়ানোর আশাও উঁকি দিচ্ছিল। ৭৮ বলে ২৯ করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আব্বাস ফিরে গেলে ভাঙ্গে ৮৭ রানের জুটি।
ততক্ষণে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইয়াসির। ২১৩ বলে ১৩ চারে ১১৩ করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন সাজঘরে। তখনো ফলোঅন থেকে ৮৮ রান দূরে পাকিস্তান।
বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় পাকিস্তানকে দ্রুতই ব্যাট করতে পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নেমেই দুই পেসার মিলে তুলে নিয়েছে ইমাম-উল হক, আজহার আলি ও ইনফর্ম বাবর আজমকে। ইমাম ও বাবরকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন হ্যাজেলউড, অধিনায়ক আজহারকে ফিরিয়েছেন স্টার্ক।