চিরসবুজ নায়ক জাফর ইকবালের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার (৮ জানুয়ারি)। ১৯৯২ সালের এই দিনে প্রয়াত হন তিনি।
৬০ দশকের শেষের দিকে ‘আপন পর’ ছবির মাধ্যমে জাফর ইকবাল নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সত্তর ও আশির দশকের হার্টথ্রব নায়ক তিনি। তাকে স্টাইল আইকন হিসেবে নিয়েছিলেন সে সময়ের তরুণরা। তার অভিনীত ছবি দিয়ে সহজেই লাভবান হতেন পরিচালক ও প্রযোজকরা।
১৯৫০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে জন্মেছিলেন জাফর ইকবাল। বাড়িতে গান-বাজনার রেওয়াজ ছিল। তার বোন শাহানাজ রহমতুল্লাহ একজন সুপরিচিত কণ্ঠশিল্পী।
বড় ভাই আনোয়ার পারভেজও নামকরা সংগীতজ্ঞ। ভাই ও বোনের মতো জাফর ইকবালও প্রথমে গানের ভুবনেই যাত্রা করেছিলেন গায়ক হিসেবে।
তার জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’, ‘সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরণী’, ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন’ অন্যতম।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন জাফর ইকবাল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন। ‘সূর্যসংগ্রাম’ ও এর সিকুয়্যাল ‘সূর্যস্বাধীন’ চলচ্চিত্রে ববিতার বিপরীতে অভিনয় করেন।
১৯৭৫ সালের ‘মাস্তান’ ছবিটি তাকে সে প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়। ‘নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে এক গ্রামীণ তরুণের চরিত্রেও জাফর ইকবালকে দর্শক গ্রহণ করে দারুণভাবে।
ক্যারিয়ারে তিনি প্রায় ১৫০টির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। জাফর ইকবাল অভিনীত ‘ভাই বন্ধু’, ‘চোরের বউ’, ‘অবদান’, ‘সাধারণ মেয়ে’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘দিনের পর দিন’, ‘বেদ্বীন’, ‘অংশীদার’, ‘মেঘবিজলী বাদল’, ‘নয়নের আলো’, ‘সাত রাজার ধন’, ‘আশীর্বাদ’, ‘অপমান’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘গৃহলক্ষ্মী’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘প্রেমিক’, ‘নবাব’, ‘প্রতিরোধ’, ‘ফুলের মালা’, ‘সিআইডি’, ‘মর্যাদা’, ‘সন্ধি’, ‘বন্ধু আমার’, ‘উসিলা’ ইত্যাদি চলচ্চিত্র সুপারহিট হয়।