টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ উপজেলার চিতুলিয়া গ্রামের শাহজানের ছেলে রিপন-১৮ ও তার দুই সহযোগী কুরবার ও রুবেলকে আটক করা হয়। রিপন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
জানা যায়, উপজেলার চর কোনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে চিতুলায়া গ্রামের শাহজানের ছেলে রিপনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে সখ্যতা তৈরি হয়। এর ধারাবাহিকতায় রিপন গত শনিবার মটরসাইকেল যোগে ওই ছাত্রীকে যমুনা সেতু এলাকার বেলটিয়া নামকস্থানে বেড়াতে নিয়ে য়ায়। সেখানে আগে থেকেই নৌকা ভাড়া করে অপেক্ষায় ছিলো রিপনের অন্য সহযোগিরা।
তারা ছাত্রীটিকে যমুনা নদী দেখানোর কথা বলে নৌকায় তুলে। পরে নৌকা মাঝ নদীতে পৌছালে রিপন, আলামিন ও নয়নসহ অন্যরা ছাত্রীটিকে জোর পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য আলামিনের মোবাইলে ধারণ করে।
ধর্ষণের দৃশ্যটি এলাকায় ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পরে মেয়েটির পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মঙ্গলবার রিপন, রুবেল ও কুরবান নামের ৩ জনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে ভূঞাপুর থানায় নিয়ে যায়।
ওই ছাত্রীর মামা জানান, মেয়েটি নানীর বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে। ধর্ষনের সময় মেয়েটি বাঁধা দিলে তাকে যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ও বিষয়টি জানাজানি করলে ভিডিও প্রকাশ করা হবে বলে হুশিয়ারী করে। পরে মেয়েটি পরিবারের কাছে বিষয়টি জানালে এবং গোপনে গোপনে ভিডিও উদ্ধারে তৎপর হলে ধর্ষকরা ভিডিওটি এলাকায় ছড়িয়ে দেয়।
ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকে অভিযান চলছে।